
বর্তমান সমাজে ধর্ষণ এক নিত্য নৈতিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই কাজে জড়িয়ে পড়ছেন সমাজের একাধিক উঁচু শ্রেণীর মানুষ। টাকার গরমে অন্যায় করতেও পিছুপা হচ্ছেন না তারা। ইতিপূর্বে ধর্ষণের মামলা একাধিক বড় বড় হস্তীর নামে যুক্ত হয়েছে। এবার সেখান আরো একটি নাম অন্তর্ভুক্ত হলো। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের এক তরুণী অপহৃত হয়েছিলেন। তারপর ওই তরুণীকে শ্রীলতাহানি করা হয় এরকমই অভিযোগ উঠল পাক স্পিনার ইয়াসির শাহের বিরুদ্ধে। আর এই কাজে সাহায্য করেছিলেন ইয়াসির শাহের বন্ধু। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণী। ইয়াসির ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।
লাহৌরের শালিমার থানার পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াসিরের বন্ধু ফারহান এক তরুণীকে বন্দুক দেখিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করেন। সেই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন পাক স্পিনার ইয়াসির। তার পরে ফারহান ঐ তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। তাছাড়া শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে পাক স্পিনারের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে ইয়াসির ভয় দেখান বলেও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ঘটনার পরে পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইয়াসিরের কাছে সাহায্য চান তিনি। কিন্তু ইয়াসির তাঁকে ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন। তার বদলে তরুণীকে একটি ফ্ল্যাট ও ১৮ বছর ধরে ভরণপোষণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কিন্তু ওই তরুণী অন্যায় মেনে নিতে না পেরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। ওই তরুণীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে পাকিস্তানি স্পিনার এবং তার বন্ধুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে শালিমার থানার পুলিশ। তরুণীর অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য ইয়াসিরের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য সামনে আসেনি।
