
প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০০ টেস্ট রান করা এবং তর্কাতীতভাবে ভারতের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি সুনীল গাওস্কর সম্ভবত টিম ইন্ডিয়ার সেরা কোচ হতে পারতেন। গাওস্কর ১৯৮৭ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, কিন্তু কখনও কোচিংয়ের দিকে ঝোঁকেননি। তিনি বিভিন্ন প্রকাশনার কলামনিস্ট হিসেবে তার বিস্ময়কর ক্রিকেট দক্ষতাকে দুর্দান্তভাবে কাজে লাগান এবং ক্রিকেট ধারাভাষ্যের জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৯০-এর দশকে ভারতীয় ক্রিকেটের কোচিং এর দায়িত্ব একের পর এক বিশান বেদী, অজিত ওয়াড়েকর, সন্দীপ পাতিল, মদন লাল, অংশুমান গায়কোয়াড়, কপিল দেব এবং অন্যান্যদের হাতে গেলেও, গাওস্কর কখনও স্বেচ্ছায় এই ভূমিকা গ্রহণ করেননি। লিটল মাস্টার ব্যাখ্যা করেন যে কেন তিনি কোচ হিসাবে কখনই ভাল ফিট হতেন না।
“আমি যখন খেলতাম তখন আউট হয়ে যাওয়ার পর সাজঘরে ফিরে ম্যাচ দেখতে বসে যেতাম। কিন্তু তখনও কোনওদিন পুরো ম্যাচ দেখিনি।। আমি কিছুক্ষণ দেখতাম, তারপর চেঞ্জ রুমের ভিতরে যেতাম বা কিছু পড়তাম বা চিঠির উত্তর দিতাম, তারপর বাইরে এসে আবার দেখতাম। সুতরাং, আমি বল-বাই-বল কখনো খেলা দেখতাম না। জিআরভি বা আমার কাকা মাধব মন্ত্রীপ্রতিটা ম্যাচ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতেন। এবং আপনি যদি কোচ বা নির্বাচক হতে চান তবে আপনাকে বল-বাই-বল পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কিন্তু একনাগাড়ে প্রতিটা বল দেখার মতো ধৈর্য আমার নেই, তাই, আমি কখনও কোচ হওয়া সম্পর্কে ভাবিনি” গাওস্কর ‘দ্য অ্যানালিস্ট’ ইউটিউব চ্যানেলে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন।
সুনীল গাওস্কর ২০০৪ সালে সিনিয়র জাতীয় দলের কোচিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের হোম সিরিজের সময় পরামর্শদাতার ভূমিকা নিয়েছিলেন। যাইহোক, যেহেতু গাওস্কর কোচিং থেকে দূরে ছিলেন তার মানে এই নয় যে তিনি খেলোয়াড়দের সাহায্য করেননি। তিনি বর্তমান ক্রিকেটারদের সাথে কাজ না করলেও সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষণ, বীরেন্দ্র সহবাগরা তাঁর কাছে থেকে সবসময় মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছেন।
