
২০০৭ সালে ঐতিহাসিক আইসিসি বিশ্ব টি-২০ জয়ের মধ্য দিয়ে এমএস ধোনি ভারতীয় ক্রিকেটে ভবিষ্যতের কিংবদন্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে অধিনায়ক হিসাবে ধোনির সাফল্য ভবিষ্যতের অধিনায়কদের জন্য মানদণ্ড স্থাপন করেছে। ২০০৭ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন দল ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে ভারতীয় ক্রিকেট দল এক বিশাল অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যায়। দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন তেন্ডুলকর ইত্যাদির মতো প্লেয়াররা বিশ্ব টি-টোয়েন্টি এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যার ফলে ধোনির অধিনায়কত্ব গ্রহণের পথ প্রশস্ত হয়।
ফাইনালে পাকিস্তানকে পরাজিত করে ভারত ট্রফি তুলে নেয়। বিশ্বকাপে যুবরাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে এতদিন পরে যুবরাজ জানালেন, ওই প্রতিযোগিতায় তাঁকে অধিনায়ক করা হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে ধোনিকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
“ভারত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে হেরেছিল। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেটে বেশ অস্থিরতা চলছিল এবং তারপরে দুই মাসের ইংল্যান্ড সফর ছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়ারল্যান্ডের সাথে মাঝে এক মাসের সফরও হয়েছিল। এবং তারপরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রায় চার মাস আমরা বিদেশে ঘুরছিলাম। তাই সম্ভবত সিনিয়ররা ভেবেছিল যে তাদের বিরতি দরকার এবং স্পষ্টতই, কেউ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে গুরুত্ব দেয়নি। আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়ক হওয়ার আশা করছিলাম এবং তারপরে ঘোষণা করা হয়েছিল এমএস ধোনি অধিনায়ক হবেন” যুবরাজ ২২ ইয়ার্নস পডকাস্টে বলেন।
অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কার হবে তা ধোনির সাথে যুবরাজের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। যদিও এতে কোন সন্দেহ নেই যে যুবি নিজেই দলকে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলেন, তবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে সমর্থন করার একটি স্পষ্ট মানসিকতাও ছিল যুবরাজের। “হ্যাঁ, স্পষ্টতই, যে অধিনায়কই হোক না কেন, তাঁকে সমর্থন করতে হবে তা সে রাহুলই হোক। গাঙ্গুলি, বা ভবিষ্যতে যেই হোক না কেন, দিনের শেষে সকলে দলের অংশ হতে চায় এবং আমিও তাই ছিলাম।” যুবরাজ এবং ধোনি ভারতের হয়ে মাঝখানে অনেক স্মরণীয় পার্টনারশিপ করেছিলেন। ধোনির সাথেই যুবরাজ ২০০৭ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ৬টি ছক্কা মেরেছিলেন।
