
বর্তমানে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্যস্ত রয়েছে। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। সাথে তিনটি ওডিআই ম্যাচ রয়েছে এই সফরে। যদিও সেই ম্যাচে নেতৃত্ব কে দেবেন সে বিষয়ে কোনরকম ইঙ্গিত দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে টেস্ট সিরিজ শেষ হতে এখনো ঢের বাকি। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করতে মরিয়া সূর্য কুমার যাদব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে ক্যারিয়ারের সবথেকে খারাপ ফর্মে ছিলেন সূর্য কুমার যাদব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ হলেও দুটি ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্বে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগেও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলেন সূর্য কুমার যাদব।
কিন্তু লক্ষ্য এখন ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন। প্রতিদ্বন্দ্বীতা এখন আকাশচুম্বী। ব্যাট হাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিখর ধাওয়ান তরুণ ক্রিকেটার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ার। সুতরাং সবাইকে ছাপিয়ে ভারতীয় একাদশে প্রত্যাবর্তন করতে হবে তাকে। ইতিমধ্যে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন সূর্য কুমার যাদব। যেখানে তার সর্বাধিক রানের ইনিংস ছিল মাত্র ৪৯। অন্যদিকে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় একই টুর্ণামেন্টে চারটি সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়েছেন ক্রিকেটমহলে। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সূর্য কুমারের প্রত্যাবর্তন এখন অগ্নিপরীক্ষার সমান।
পুলিশ শিল্ডের ফাইনালে পার্সি জিমখানার হয়ে পায়াদি এসসির বিরুদ্ধে মেরিন ড্রাইভে পুলিশ জিমখানা মাঠে ১৫২ বল ২৪৯ রানের (২০০ রান করেন ১২২ বলে) দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৩৭টি চার ও ৫টি ছক্কায়। তিনদিনের ম্যাচের প্রথম দিনে মধ্যাহ্নভোজ এবং চা বিরতির মাঝের সেশনেই ১০০-র অধিক রান করেন সূর্য। তাঁর ইনিংসের সুবাদেই মজবুত পজিশনে পার্সি জিমখানা। ম্যাচ শেষে সূর্য কুমার যাদব বলেন, নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেষ্টা করেছি। সীমানা অনেক ছোট ছিল, যে জন্য রান করতে খুব একটা কষ্ট পেতে হয়নি। সতীর্থরা যখন করতালি দিয়ে স্বাগত জানাল তখন বুঝলাম আমার ব্যক্তিগত ২০০ রানের ইনিংস পূর্ণ হল।
