
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজিত হবার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেন আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাত্রা শুরুর পূর্বে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মত শক্তিশালী দেশকে পরাজিত করে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল পর্বের পাঁচটি খেলায় পরাজিত হয়ে লজ্জাজনকভাবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের যেন অকাল লগ্নের সূত্রপাত ঘটেছে। টানা ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজিত হয়ে লজ্জার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্যতম সফল দল পাকিস্তান সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করছে। এই সফরকালে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা ছিল। ইতিপূর্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াস হয়েছে বাংলাদেশের টাইগাররা। শুধুমাত্র পরাজয় নয়, রীতিমতো লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা। তার ফলশ্রুতিতে একাধিক পরিবর্তনসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
কিন্তু সেখানেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশি টাইগাররা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো রকম প্রতিরোধ গড়ে তোলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে পাকিস্তান। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য কিছুটা হলেও সৌভাগ্য ফিরিয়ে এনেছিল। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান চার উইকেট হারিয়ে ৩০০ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে। বৃষ্টি জনিত কারণে ইনিংস কমিয়ে খেলা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আম্পায়াররা।
যথারীতি পাকিস্তানের দেওয়া ৩০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সাত উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ বলাই বাহুল্য, সিরিজের শেষ ম্যাচেও লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হতে চলেছে বাংলাদেশি টাইগাররা। আর এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের দীর্ঘক্ষন ধারাবাহিক ব্যর্থতার রেকর্ড হতে চলেছে।
