
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে যেন দিকশূন্য হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। একের পর এক ম্যাচে হেরে লজ্জার সব রেকর্ড উত্তীর্ণ করেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ।তারপর দৈবক্রমে মূল পর্বে পৌঁছেও সবকটি ম্যাচে পরাজিত হয় তারা। আর সেখান থেকে একের পর এক সিরিজে লজ্জার রেকর্ড গড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশ। অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পূর্বেই অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে বেঘোরে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দুর্দান্তভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল পাকিস্তান। স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সফর করেছিল বাবর আজমের পাকিস্তান। সেই সফরকালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একাধিক রেকর্ড নিজেদের দখলে করে নিল পাকবাহিনী। ভারতকে ছাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান। এই তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই তালিকার একদম শেষ স্থানে অবস্থান করছে। টেস্ট ক্রিকেট পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশ এখনো খাতাই খুলতে পারেনি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনকভাবে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টেস্ট সিরিজে কিছুটা প্রত্যাবর্তন করেছিল টাইগাররা। প্রথম টেস্ট ম্যাচে লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে কিছুটা আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ অবধি প্রথম টেস্ট ম্যাচে ৮ উইকেটে পরাজিত হয় টাইগাররা।
সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ রীতিমতো ফলোআপে হেরেছে পাকিস্তানের কাছে। এক ইনিংস এবং ৮ রানে পরাজিত হয়েছে তারা। এমন লজ্জাজনক হারের পর টাইগাররা যেন গর্তে মুখ লুকিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হক পাপন সাধারণ ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে রীতিমতো হাসির পাত্র হয়ে উঠেছেন। টানা ১০ ম্যাচে( ৮টি টি-টোয়েন্টি এবং ২টি টেস্ট) হেরে ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম লজ্জার রেকর্ড নিজেদের নামে অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে বাংলাদেশি টাইগাররা।
