
এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে থেকেই দলে হার্দিকের থাকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। বেশিরভাগ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা তাকে দলে না রাখারই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই দল থেকে বাদ পরল হার্দিক পান্ডিয়া। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে হার্দিককে নিজের শারীরিক সুস্থতা এবং ফিটনেস প্রমাণ করার কড়া বার্তা দিল বোর্ড। সম্প্রতি হার্দিক পান্ডিয়াকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ দিল ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় দল থেকে তাকে ছেঁটে ফেলার কড়া বার্তা বিসিসিআই সূত্রে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না পান্ডিয়া নিজের সুস্থতা প্রমাণ করতে পারবেন ততোদিন পর্যন্ত জাতীয় দলের দরজা বন্ধ থাকবে তার জন্য।
মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার পারফর্ম্যান্স নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল জাতীয় দলের নির্বাচকদের। পুরোপুরি ফিট না হওয়া সত্ত্বেও কেন হার্দিককে খেলানো হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে? এখন এই নিয়ে বোর্ডের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্বাচকদের। আইপিএল শেষ হওয়ার পরেই হার্দিককে মরুদেশ থেকে সরাসরি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবের জন্য কেন পাঠানো হয়নি? এই নিয়েও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন নির্বাচকরা।
এরপরেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জাতীয় নির্বাচক এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হার্দিককে বিশ্রাম নয় বাদ দেওয়া হয়েছে দল থেকে। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিজের ফিটনেসের প্রমাণ দিতে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আপাতত হার্দিককে নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার ও নিয়মিত বল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই তারকা অলরাউন্ডার ব্যাটে-বলে নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে তবেই জাতীয় দলের যোগ্যতা অর্জন করবেন।
