
সেপ্টেম্বরেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক বিশাল ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ওয়ানডে খেলার কয়েক মিনিট আগে সফরটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর সাফাই হিসেবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট জানায়, দলের জন্য একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য হুমকি’ রয়েছে তাই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত একটা বড় ধাক্কা দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে।
এরপরেই ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তান সফর বাতিল করে। অক্টোবরে নির্ধারিত পাকিস্তান সফরে নিজেদের পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট টিমকে পাঠাতে অস্বীকার করে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনা হয়েছিল গোটা বিশ্ব জুড়ে। এমনকি এরপর পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী দাবি করেছেন, নিউজিল্যান্ডের জন্য হুমকি ভারত থেকেই উদ্ভূত হয়েছে।
তার কথায়, ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের একটি সহযোগী ডিভাইস থেকে ইমেল পাঠানো হয়েছিল, যা সিঙ্গাপুরের আইপি অ্যাড্রেসের লোকেশন দেখিয়েছে। এই অভিযোগের পর বিসিসিআইয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন ভারত এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত নয়।
বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা রামিজ রাজাকে শুভকামনা জানিয়েছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট তার অধীনেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড সফর বাতিলের ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের কোনো ভূমিকা নেই।
এমনকি পাকিস্তানের কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের কারণ হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে দায়ী করেছেন। ৮ই অক্টোবর লিগ পর্বের শেষে ইংল্যান্ডের আইপিএলে আবদ্ধ খেলোয়াড়দের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেক্ষেত্রে তারা প্লে-অফে অংশ নিতে পারতেন না। তাই ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হিসেবে আইপিএলকে দায়ী করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিসিসিআই কর্মকর্তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে রামিজ রাজা আইপিএলে অর্থ উপার্জনের পরে অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড়দের আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য অভিযোগ করেছিলেন। পরে তিনি পাকিস্তানকে সব সময় ভারতকে সর্বত্র টেনে না আনার কথাও বলেছেন।
