
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটে উথালপাথাল পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন বিরাট কোহলি। বিরাটের পতনের সাথে সাথে উত্থান হয়েছে ওপেনিং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার। টি-টোয়েন্টি এবং ওডিআই ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব তো পেয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটে পেয়েছেন সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। প্রসঙ্গটি নিয়ে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল রয়েছে। এরইমধ্যে আগামীকাল বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের গল্প। কপিল দেবের ভূমিকায় রণবীর সিং ২ ঘন্টা ৩২ মিনিটে ফুটিয়ে তুলেছেন ভারতের বিশ্বকাপ যাত্রার গল্প।
ছবির প্রিমিয়রে জি নিউজ ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য বলবিন্দরের থেকে জানতে চেয়েছিল যে, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার কপিলের ক্যাপ্টেনসির থেকে কী কী শেখার আছে! ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী ও দেশের প্রাক্তন পেস বোলার বলবিন্দর সিং সান্ধু বলেন, “বিরাট-রোহিত কপিলের মতো ব্যাট করুক, ফিল্ডিং করুক। কপিলের মতো ক্যাপ্টেনসি করে দেখাক। যে কোন দল নিয়ে বিরোধীদের সাথে লড়াই করার মনোভাব আনুক। আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপ জিতুক ভারত। ২০২৩ সালে ভারতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ রয়েছে। সেটাও জিতুক ভারত।”
প্রিমিয়রের খোদ ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সোজাসাপ্টা উত্তর দেন। তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে লড়াই করার কোন মানে হয় না। আসল লড়াই দেশের জন্য ২২ গজের ময়দানে করা উচিত। আমাদের সময় সোশ্যাল মিডিয়ার অমন বাড়বাড়ন্ত ছিলনা। বর্তমান সময়ে সেটা রয়েছে। তাই আলোচনা-সমালোচনা সবকিছুই হবে। আমরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে ছিলাম তখন শুধু এটাই জেনেছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুবই শক্তিশালী দল। কিন্তু বর্তমানের টেকনোলজির যুগে কোন ক্রিকেটারের কোথায় দুর্বলতা রয়েছে, তার বিরুদ্ধে কেমন কৌশল অবলম্বন করলে আউট করা সম্ভব হবে সবকিছুই পর্যালোচনা করা সম্ভব। তাই নিজেদের মধ্যে লড়াই না রেখে আরো একটা বিশ্বকাপ আনার লড়াই মেতে উঠুক বিরাট-রোহিত।
