
যদি ক্রিকেট খেলার কথা আসে সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হয় উইকেটরক্ষককে। কারণ একজন উইকেট রক্ষক উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে পুরো ম্যাচ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ফিল্ডার সাজানো থেকে শুরু করে বোলিং নির্দেশনা, পুরোটাই থাকে তার হাতে। এলবিডব্লিউ হোক কিংবা ক্যাচ আউট, উইকেট রক্ষকের ভূমিকা সর্বদা সব খেলোয়াড়ের চেয়ে অধিক তম হয়ে থাকে। একজন উইকেট-রক্ষক পারেন দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে পুরো খেলাটিকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসতে। আবার একজন উইকেটরক্ষকের কারণে পুরো খেলা হাতছাড়া হতে পারে যে কোন দলের জন্য। সাধারণত ভাল ক্যাচ ধরলে বা স্টাম্প আউট করলে কিপারদের তেমন প্রশংসা করা না হলেও আউট মিস করলে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন কিপাররা।
যদি ভারতীয় উইকেট রক্ষকের কথা আসে সে ক্ষেত্রে একাধিক উইকেটরক্ষকের নাম উঠে আসে ইতিহাসের পাতায়। মহেন্দ্র সিং ধোনি হোক কিংবা দীনেশ কার্তিক, পার্থিব প্যাটেল হোক কিংবা ঋদ্ধিমান সাহা, প্রত্যেকেই ইতিহাসের পাতায় নিজেদের কর্মকাণ্ড স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন। একজন ক্রিকেটারের কাছে সবচেয়ে কঠিনতম বিষয় হল সেরা উইকেট রক্ষক বেছে নেওয়া। কারণ বল এবং ব্যাটিং দেখে ভালো প্লেয়ার বেছে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু শুধুমাত্র ক্যাচ কিংবা স্ট্যাম্প আউট দেখে উইকেট রক্ষকের বিচার করা সম্ভব হয় না। তার জন্য উইকেটরক্ষকের অভিজ্ঞতা এবং দূরদর্শিতাও পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
একজন পেস বোলারের কাছে উইকেটরক্ষকের গুরুত্ব খুব বেশি না হলেও একজন স্পিনারের কাছে উইকেট-রক্ষক মানে তার ঝুলিতে একটি উইকেট। ভারতীয় স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ক্রিকেটের এই কঠিনতম কাজটি করে দেখিয়েছেন। তিনি ইউটিউবের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি যাদের সাথে মাঠে নেমেছি তাদের মধ্যে কেউই কম নন অভিজ্ঞতায় কিংবা কলাকৌশলে। আমি মহেন্দ্র সিং ধোনি হোক কিংবা দীনেশ কার্তিক, বর্তমানে ঋদ্ধিমান সাহার সাথে খেলেছি। তবে আমার সর্বদা মনে হতো, উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনি দাঁড়ালে কঠিন আউটগুলো অনেক সহজ হয়ে যেত। দীনেশ কার্তিক এবং ঋদ্ধিমান সাহা কোন অংশে কম ছিলেন না। তার পরেও মহেন্দ্র সিং ধোনি উইকেটের পেছনে দাঁড়ালে যেকোনো বোলারের জন্য উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে যেত। সেজন্য আমার দৃষ্টিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি অবশ্যই ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ উইকেট রক্ষক।
