
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পারফরমেন্স রীতিমতো নজর কেড়েছিল। গ্রুপ পর্যায়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পর সেমিফাইনালে একরকম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উঠে যায় পাকিস্তান। তবে সেমিফাইনালে তাদের সামনে দাঁড়িয়েছিল শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। তবে এত কিছুর মধ্যেও পাকিস্তান সবচেয়ে সমস্যা পরে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে হারিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান সেমিফাইনালের আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি করতে হয় হসপিটালে।
অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এমনকি ডাক্তাররা বলেই দিয়েছিলেন, কুড়ি মিনিট দেরি হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। শ্বাসনালীতে ইনফেকশন হয়ে সেমিফাইনালের আগে হসপিটালে ভর্তি হওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান যে দুদিন পরেই সেমিফাইনাল খেলার জন্য উপযুক্ত হয়ে মাঠে ফিরবেন সে আশা ছেড়ে দিয়েছিল ক্রিকেট পাকিস্তান। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামেন তিনি। খেলেন ৫২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস।
তবে কিভাবে হল এত কিছু সম্ভব? এতদিন পর সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সেমিফাইনালের আগে তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে নিষিদ্ধ ড্রাগ ইঞ্জেকশন করা হয়েছিল। আইসিসির ক্রম তালিকায় থাকা নিষিদ্ধ ওষুধ গুলির মধ্যে একটি ব্যবহার করা হয়েছিল তার তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য। অবশ্য এর জন্য আইসিসির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট। অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় সেই ওষুধ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
রিজওয়ানকে একটি সাক্ষাৎকারে নাজিবুল্লাহ সোমরো বলেছেন, ‘‘তোমার পরিস্থিতি ভাল ছিল না। ঠিক মতো শ্বাস নিতে পারছিলে না। তোমাকে সুস্থ করার জন্য একটা ইঞ্জেকশন দিতেই হত। তবে ক্রিকেটাররা আবার ওই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করতে পারেন না। যে কারণে আইসিসির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পেতে হয়েছিল আমাদের। এরপর আমরা ওই নিষিদ্ধ ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে তোমার সুস্থতার জন্য।
