
লড়াইটা শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। আর সেই লড়াইটাকে এক এক করে এগিয়ে নিয়ে গেলেন চেতেশ্বর পূজারা, ঋষভ পন্থ, হনুমা বিহারী এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাদের লড়াইয়ের সৌজন্যে সিডনিতে হারতে চলা ম্যাচ ড্র করল টিম ইন্ডিয়া। ফলে ব্রিসবেন টেস্ট সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট হয়ে দাঁড়ালো। ভারতের এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর উচ্ছ্বসিত টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্টাররা।
পূজারার ব্যাট থেকে এল ২০৫ বলে ৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস। চোট নিয়েও ঋষভ পন্থ করলেন ১১৮ বলে ৯৭ রান। ১০০টাও হয়ে যেত যদি না মারতে গিয়ে তিনি উইকেট দিয়ে আসতেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভারবাউন্ডারির সাহায্যে। পন্থ যখন ব্যাট করছিলেন তখন জয়ের একটা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। তবে পন্থ ও পূজারা অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হনুমা বিহারীর দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। চোট নিয়ে দৌড়াতে না পারলেও ১৬১ বলে ২৩ রানের অপরাজিত একটা দামী ইনিংস খেললেন তিনি। অশ্বিন অপরাজিত থাকেন ১২৮ বলে ৩৯ রানে। ২৫৬ বল খেলে ৬২ রানে অপরাজিত পার্টনারশিপ করলেন তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ব্যাট করল ১৩১ ওভার। ১৯৮০ সালের পর ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে সবথেকে বেশি এত ওভার ব্যাট করল।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড ও ন্যাথান লিও। ১টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। প্রথম ইনিংসে ১৩১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান করে ম্যাচের সেরা হন স্টিভ স্মিথ। এখন দেখার ব্রিসবেন টেস্টে কি ফলাফল হয়।
