
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কের নাম ছিল শোয়েব আখতার। স্প্রিড স্টার শরিফের বলে ভয় পেতেন না এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতির বলটি করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২২ সালে শোয়েব আখতার ১৬১ কিলোমিটার বেগে বোলিং করে ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখেছিলেন। আজ পর্যন্ত পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি কোন ক্রিকেটার।
তবে এবার এই প্রসঙ্গটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মোহাম্মদ সামি। তিনি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মানুষ নিজের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ গতিতে বল থেকে দুটির বেশি বল করতে পারে না। আমি ও আমার ক্যারিয়ারে ১৬২-১৬৪ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছি। তবে স্পিড মিটার খারাপ থাকায় সেই বলের গতি লিপিবদ্ধ হয়নি ক্রিকেট ইতিহাসে। আমাকে বলা হয়েছিল স্পিড মিটার অকেজো হয়ে গেছে। না হলে সর্বোচ্চ গতির বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে হয়তো সর্বোচ্চ গতির বোলার হিসেবে আমার নামই লিপিবদ্ধ থাকতো।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ সামি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ গতির বলটি করেছিলেন ২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। শারজাতে ১৫৬.৪ কিমি বেগে বল করেছিলেন মোহাম্মদ সামি। সেটাই তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের দ্রুততম ডেলিভারি। সামি ২০০১ সালে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট অভিষেক করেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ১৫ বছরের ক্যারিয়ার শেষ হয় ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সামি ৩৬টি টেস্ট, ৮৭টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলেন দেশের হয়ে। তবে পাকিস্তানের হয়ে কখনো ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারেননি মোহাম্মদ সামি।
