
দীর্ঘ ২৩ বছরের ক্রিকেট জীবনের ইতি টেনেছেন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং। কয়েকদিন আগে ক্রিকেটের সব ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন তিনি। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের পূর্বে ভারতীয় ক্রিকেটে এক অনন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেছিলেন হরভজন সিং। সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ২০০১ সালে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তিন ম্যাচে ৩২ উইকেট শিকার করে রাতারাতি সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছিলেন ডানহাতি এই স্পিনার। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হরভজন সিংয়ের।
অবসরের পূর্বে ভারতের হয়ে ১০৩টি টেস্ট, ২৩৬টি একদিনের ও ২৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে ৪১৭টি, একদিনের ক্রিকেটে ২৬৯টি এবং আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ২৫টি উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই স্পিনার। এছাড়া টেস্টে ২টি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফসেঞ্চুরি-সহ ২২২৪ রানও সংগ্রহ করেছেন হরভজন। ১২৩৭ রান করেছেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও।
এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করে বোমা ফাটালেন হরভজন সিং। তিনি কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, আমাকে যদি সমর্থন করা হতো তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে আমার উইকেটের সংখ্যা ৫০০-৫৫০টি হতে পারতো। আমি মাত্র ৩১ বছর বয়সে ৪০০+ উইকেট সংগ্রহ করেছি। সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বে আমার ক্যারিয়ারের স্বর্ণযুগ ছিল। প্রত্যেকটি ম্যাচে সফল হয়েছিলাম আমি। ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি আমি।
কিন্তু ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার পদচারণা কমতে থাকে। ঠিক কি কারণে আমার সাথে এমন ঘটনা ঘটছিল সেটি জানার চেষ্টা করেছিলাম। তবে কেউ উত্তর দেয়নি। খারাপ সময় সবার আসে, তবে সমর্থন করার জন্য কেউ হাত বাড়ায়নি। উল্লেখ্য, হরভজন সিংয়ের এমন মন্তব্যের পর নিঃসন্দেহে সন্দেহের তীর মহেন্দ্র সিং ধোনির দিকে গিয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে তেমন বেশি খেলার সুযোগ পাননি ভারতীয় এই স্পিনার। একথা সকল ক্রিকেটপ্রেমী স্বীকার করবে।
হরভজন সিং এদিন ক্ষোভের সুরে বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০+ উইকেট নেওয়ার পরেও যদি আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের জন্য সমর্থন প্রয়োজন হয় সেটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একের পর এক ম্যাচে বাদ দেওয়ার কারণ জানতে না পারা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বিফলতা। তিনি তার সমর্থকদের এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পাশে থাকার জন্য।
