
সাম্প্রতিক কালে ‘আম্পায়ারের আহ্বান’ ঘিরে অনেক বিতর্ক হয়েছে যেখানে বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ডিআরএস-এর নিয়মকানুন পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রকাশ্যে এটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে ক্রিকেট কমিটি সভায় ডিআরএস এবং থার্ড আম্পায়ার প্রোটোকলে তিনটি পরিবর্তন অনুমোদন করেছে।
বিসিসিআই আসন্ন আইপিএলে সফট সিগন্যাল বিষয়টি বাতিল করেছে। মহিলা ও পুরুষ উভয় ক্রিকেটেই বল পালিশ করার জন্য লালা ব্যবহার আপাতত নিষিদ্ধই থাকছে এবং করোনাভাইরাস-কালে জারি হওয়া সমস্ত নিয়মও জারি রাখা হয়েছে। এগুলি ছাড়াও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে, সেগুলি হল-
১. এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন খেলোয়াড় আম্পায়ারের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন যে ব্যাটসম্যান আদৌ বল খেলার প্রকৃত চেষ্টা করা হয়েছে কিনা।
২. এতদিন পর্যন্ত শর্টরানের সিদ্ধান্ত দিতেন শুধু অনফিল্ড আম্পায়াররা। এবার থেকে যে কোন শর্টরানের রিপ্লে পরীক্ষা তৃতীয় আম্পায়াররা করতে পারবেন এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন। যে কোন ত্রুটি সংশোধন করা হবে।
৩. এলবিডব্লিউর ক্ষেত্রে উইকেট জোনের উচ্চতা বাড়িয়ে বেল অবধি করা হয়েছে।
কমিটিগুলো গত ৯ মাসে হোম আম্পায়ারদের চমৎকার পারফরম্যান্সের কথা উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ এলিট প্যানেল আম্পায়ারদের আরো ব্যাপক নিয়োগকে উৎসাহিত করেছে। মহিলাদের ওয়ানডে খেলার পরিবেশে দুটি পরিবর্তন অনুমোদন করা হয়েছে। প্রথমত, বিবেচনামূলক ৫ ওভার ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে অপসারণ করা হয়েছে এবং দ্বিতীয়ত, সব টাইড ম্যাচ একটি সুপার ওভার দ্বারা নির্ধারণ করা হবে। মেল জোন্স (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) এবং ক্যাথরিন ক্যাম্পবেল (নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট) আইসিসি মহিলা কমিটির পূর্ণ সদস্য প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
