
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে অন্যতম সেরা দাবিদার মনে করেছিলেন একাধিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভারত যেন কোন রকম লড়াইয়ের মনোভাব না দেখিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে এসেছে। এ যেন এক হারানো ভারত। নিজেদের অস্তিত্ব যেন হারিয়ে গেছে ক্রিকেট থেকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে লজ্জাজনক পরাজয়। ঠিক কি কারণে ভারতের এমন পরিণতি হলো তা খুঁজতে গিয়ে প্রধান তিনটি কারণ সামনে চলে এসেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক-
১. বিরাট কোহলির টস ভাগ্য: চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টসে জেতা যেন ম্যাচ জেতার সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ যে দোল টসে জয়লাভ করেছে সেই দলই যেন ম্যাচ জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া দুবাইয়ের মাটিতে রান তাড়া করে ম্যাচে জয়ের নজির গড়েছে প্রত্যেকটি দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে টসে হেরেছেন বিরাট কোহলি। ফলে প্রথমে ব্যাটিং করতে হয়েছিল ভারতকে। সেখানে পরপর দুটি ম্যাচে পরাজয় ঘটে ভারতের।
২. ব্যাটিং পারফরম্যান্সের ব্যর্থতা: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলারদের চেয়ে বেশি ভূমিকা থাকে ব্যাটসম্যানদের। কারণ সংক্ষিপ্ত ওভারের খেলায় বোলাররা নিজেদের কলাকৌশলী সর্বদা দেখাতে সক্ষম হয় না। সেক্ষেত্রে যথাসম্ভব অধিক রান সংগ্রহ করে বিরোধীদলকে বিপদে ফেলতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু প্রথম দিকেই প্রতিটা ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের এমন করুণ পরিণতির জন্য ব্যাটিং পারফরমেন্সের ব্যর্থতা অন্যতম প্রধান কারণ।
৩. ব্যাটিং অর্ডার: ভারতীয় দল নিজেদের ব্যাটিং অর্ডারে বারবার পরিবর্তন করিয়ে ক্রিকেটারদের মনবল নষ্ট করেছে। রোহিত শর্মার মতো ক্রিকেটার দলে থাকার শর্তেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনিং করানো হয় ঈশান কিশান এবং কে এল রাহুলকে দিয়ে। ফলশ্রুতিতে বিরাট কোহলি চতুর্থ নম্বরে আসেন ব্যাটিং করতে। তৃতীয় নম্বরে পৃথিবীর সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান রহিত শর্মা ব্যাটিং করে। ব্যাটিং অর্ডার সাজানোর ভুলে হয়তোবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জাজনক পরাজয় হয়েছিল ভারতের।
