
নটিংহামে প্রথম ম্যাচে ভারত জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভারতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৫৭ রান। হাতে ছিল ৯টি মূল্যবান উইকেট। কিন্তু বৃষ্টি এসে প্রথম ম্যাচে রক্ষা করেছিল ইংল্যান্ডকে। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচ ড্র ঘোষণা করে আম্পায়াররা। চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে লর্ডসের স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি স্বয়ং উপস্থিত আছেন ভারত ইংল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ দেখার জন্য। সেখানেই ইতিহাস রচনা করলো বিরাট কোহলির টিম।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ভারত ৩৬৪ রান সংগ্রহ করে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট বজ্রের মতো আঘাত করেন ভারতীয় পেস বোলারদের ওপর। তার অপরাজিত ১৮০* রানের উপর ভর করে ইংল্যান্ড সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৯১ রান সংগ্রহ করে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৭ রানের লিড দেয় ভারতকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ এর মতই আবারো ব্যর্থ হলো টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডার। মোটেই ফর্মে নেই বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটারও। তার পরেও ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত জসপ্রীত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সামির পার্টনারশিপের ফলে একটি সম্মানজনক স্কোর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। মোহাম্মদ সামি অপরাজিত ৫৬* রান এবং জসপ্রীত বুমরাহ অপরাজিত ৩৪* রানের ইনিংস খেলেন। দলের হয়ে রবিনসন এবং মঈন আলি ব্যক্তিগত দুটি করে উইকেট এবং মার্ক উড ব্যক্তিগত তিনটি উইকেট দখল করেন। দ্বিতীয় ইনিংস শেষে ভারত ২৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ইংল্যান্ড এর জন্য। ইনিংস বিরতি শেষে ইংলিশ বাহিনী ব্যাটিং করতে নেমেই একের পর এক আউট হতে থাকেন ভারতীয় পেস বোলারদের সামনে। ভারতীয় পেস বোলাররা আবারও ইতিহাস রচনা করলো লর্ডসের স্টেডিয়ামে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ২০ উইকেট সংগ্রহ করলো ভারতীয় পেস বোলার লাইনআপ। ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে সিরিজে প্রথম জয় তুলে নিল ভারত। মোহাম্মদ সিরাজ ব্যক্তিগত চারটি, জসপ্রীত বুমরাহ তিনটি এবং ইশান্ত শর্মা দুটি উইকেট তুলে নেন। মাত্র ১২০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
