
প্রথম ইনিংসের শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ালো ২১৭। কাইল জেমিসনের বোলিং আক্রমণে একপ্রকার ব্যাকফুটে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দিন খেলা ভেস্তে যাওয়ার পর ২য় দিন সাউদাম্পটনের এজিয়াস বোলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের লড়াই শুরু হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংইয়ে নামে ভারত। শুরুটা ভালোই করে। রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল প্রথম উইকেটে ৬২ রান যোগ করে। ২১ তম ওভারে রোহিত ৩৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। কাইল জেমিসনের বলে ক্যাচ আউট হিন তিনি। শীঘ্রই তার সঙ্গী গিলও আউট হন। শুভমান নীল ওয়াগনারের কাছে তার উইকেট হারান। ২৮ রান করেন গিল। তারপরে চেতেশ্বর পূজারা এবং বিরাট কোহলির উপর ইনিংস বহন করার দায়িত্ব আসে।
মধ্যাহ্নভোজনের আগে এবং তারপরে দ্বিতীয় সেশনে, তারা কিছু রান করার আশা করেছিল। তবে নিউজিল্যান্ড ভারতকে অনেকটাই চাপে রেখেছিল।নীল ওয়াগনার এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম আক্ষরিক অর্থে দুই ব্যাটসম্যানকে কোনো রান দেননি। ৫৪ বলে মাত্র ৮ রান করে LBW হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পূজারা। দুটি চার মারেন তিনি। অধিনায়ক বিরাট কোহলি ঐতিহাসিক ইভেন্টে একটি ক্লাসিক কভার ড্রাইভ দিয়ে তার ইনিংস শুরু করেন। সাথে ছিলেন রাহানে। ৬৪.৪ ওভারে ২য় দিনের খেলার পরিসমাপ্তি হয়। ২য় দিনের শেষে ভারত তিন উইকেটে ১৪৬ রান করে।
৩য় দিনে মাঠে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বিরাট। ৬৭.৪ ওভারের মাথায় ৪৪ রানে কাইল জেমিসনের বলে LBW হন তিনি। রাহানে এবং বিরাট ৬১ রানে জুটি তৈরি করেন। এরপর মাঠে আসেন ঋষভ পন্থ। তিনি নিজেকে মেলে ধরতে ব্যাথ হন। ২২ বলে ৪ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৪৯ রানে রাহানে তাঁর উইকেট হারান। ১৮২ রানে ৬ উইকেটের পতন হয়। অশ্বিন ২২ এবং ইশান্ত শর্মা ৪ রান করেন। ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বুমরা। ১৫ রানে থেমে যায় জাডেজার ইনিংস। সামি ৪ রানে নট-আউট। প্রথম ইনিংসের শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ২১৭।
নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমনের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কাইল জেমিসন। রোহিত, বিরাট, পন্থের মতো বড় উইকেটগুলি তিনি নেন। ২২ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। নিল ওয়াগনার ও ট্রেন্ট বোল্ট ২টি করে উইকেট পান। টিম সাউদি তোলেন ১টি উইকেট।
