
কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়লাভের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে সেই স্বপ্ন ইতিমধ্যে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে কিউই ক্রিকেটাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে কিউই বোলারদের সামনে। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মমিনুল হক। তবে সেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পরাজয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে টম লাথাম এবং উইল ইয়ং বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। উইল ইয়ং ব্যক্তিগত ৫৪ রানে সাজঘরে ফিরলেও টম লাথাম এর সাথে জুটি বেঁধে বিধ্বংসী ইন খেলেন ডেভন কনওয়ে। টম লাথাম ৩৭৩ বলে অনবদ্য ২৫২ রানের ইনিংস খেলেন। ডেভন কনওয়ে দলের খাতায় যুক্ত করেন ১০৩ রানের ইনিংস। প্রথম দিনের ব্যাটিং শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ৫২১ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে।
রানের চাপে বাংলাদেশি টাইগাররা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক এক করে সাজঘরে ফিরতে থাকেন তারা। সিরিজের প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন অধিনায়ক মমিনুল হক এবং উইকেট-রক্ষক লিটন দাস। তবে অধিনায়ক স্বয়ং ‘গোল্ডেন ডাক’ পেয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ট্রেন্ট বোল্টের বিধ্বংসী বলে ইনিংসের শুরুতে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশি টাইগাররা। মাত্র ৩৫ রানে মূল্যবান ৫ উইকেট হারিয়ে দিকশুন্য হয়ে পড়ে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। ১২৬ রানে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
৩৯৫ রানের চাপ নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশী টাইগাররা। তবে সেখানেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ লিটন দাস ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে। ফলশ্রুতিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এক ইনিংস এবং ১১৭ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। টম লাথাম ২৫২ রানের ইনিংসের জন্য ‘ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ’ নির্বাচিত হয়েছেন।
