
সম্প্রতি আইপিএল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। এর মধ্যেই চলতি মরশুমের বিজয় হাজারে ট্রফি শুরু হওয়ার দিনেই ভেঙে গেল একাধিক রেকর্ড। শনিবার ছিল ঝাড়খন্ড বনাম মধ্যপ্রদেশ ম্যাচ। এই ম্যাচেই তৈরি হয় একাধিক নতুন রেকর্ড। ঝাড়খন্ড প্রথমে ব্যাটিং করে নেমে ৪২২/৯ রান তোলে। আর বিজয় হাজারে ট্রফিতে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস ৯৮ রানেই শেষ হয়ে যাওয়ায় ৩২৪ রানের ব্যবধানে ম্যাচ ঝুলিতে ভরে ঝাড়খন্ড। রানের ব্যবধানের দিক থেকে এটি প্রতিযোগিতার বৃহত্তম জয়।
আশ্চর্যজনকভাবে, এর আগে ২০১০ এর মরশুমে বিজয় হাজারে ট্রফিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল মধ্যপ্রদেশের দখলেই। রেলওয়েজের বিরুদ্ধে তাঁরা ৪১২/৬ স্কোর করেছিল। তবে ঝাড়খন্ডের জেতার পিছনে মূল স্তম্ভ ছিলেন ঈশান কিষাণ। ২২ বছর বয়সী এই তরুণ ৯৪ বলে ১৭৩ রান করে ঝাড়খণ্ডকে ৫০ ওভারে ৪২২/৯ তুলতে সাহায্য করে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান তার ইনিংস চলাকালীন ১১ টি ছক্কা এবং ১৯ টি চার মেরে ঝড়ের গতিতে রান তোলেন। এই রানে পৌঁছাতে তিনি ৭৪ টি ডেলিভারি নেন। শেষ ২০ ডেলিভারিতে, ঝাড়খণ্ডের এই স্কিপার ৭১ রান গড়েন, এবং তার দলকে ২৬ তম ওভারে ২০০ রানের গণ্ডি ভাঙ্গতে সাহায্য করেন।
ঝাড়খণ্ড ২০ ওভারের মধ্যে দুই উইকেট হারায় কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বোলিং আক্রমণ ঈশানকে থামাতে পারেনি। পার্থ সাহানির নেতৃত্বাধীন দল অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে যখন গৌরব যাদব ২৮তম ওভারে ঈশানকে আউট করে কিন্তু ততক্ষণে ঝাড়খণ্ড বোর্ডে ২৪০ রান তুলে ফেলেছিল। ক্রিকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেন কিষাণ। কিষাণ ছাড়াও বিরাট সিং ৬৮, অনুকুল রায় ৭২ রান করেন এবং সুমিত কুমার ৫২ রান করেন। বোলিং বিভাগে নজরকারা পারফরমেন্স করেন বরুণ অ্যারন। ৫.৪ ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট তোলেন তিনি।
