
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত কামব্যাক করে সিরিজের স্কোর ১-১ করে টিম ইন্ডিয়া। ৭ উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে আনে বিরাট এন্ড কোং। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেন আইপিএল ২০২০-তে সাড়া জাগানো ইশান কিষাণ। কিষাণের ৫৬ রান, অধিনায়ক বিরাট কোহলির অপরাজিত ৭৩ রান পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ তে ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে ভারতকে সাহায্য করে।
সোমবার ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেসন রয় জানান যে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে তরুণ ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণ যে স্পিরিটে পারফর্ম করেছে তা দেখে তিনি বিস্মিত হননি। সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রয় বলেন, “বেশ কিছু ডেলিভারিতে আমাদের বোলারদের খামতি ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইশান কিশান একের পর এক বাউন্ডারি মারেন। আমি যখন ওপেনিং স্লটে ব্যাটিং করছিলাম তখন এমন কিছু ডেলিভারি মিস করি যা থেকে বাউন্ডারি আসতে পারতো। ওপেনার হিসেবে ইশান কিশান নিজের কাজ সত্যিই সফল্ভাবে সম্পন্ন করেছেন। ঈশান একজন স্টার খেলোয়াড়, তিনি আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জন্য অসংখ্যবার এই কাজ করেছেন।”
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) একটি ভিডিও শেয়ার করেছে যেখানে যুজবেন্দ্র চাহাল ম্যাচের পর ঈশানের সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে ঈশান বলেন, “যেকোনো তরুণ প্লেয়ারের কাছে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করা একটি গর্বের মুহূর্ত। আমি খুব খুশি যে আমি এই সুযোগ পেয়েছি। ম্যাচের আগে বিরাট ভাই, হার্দিক ভাইয়ের সাথে আমার যে কথোপকথন হয়েছিল, সবাই আমাকে শুধু খেলা উপভোগ করতে বলেছিল এবং ব্যাট করতে যাওয়ার আগে আমাকে টিপস দিয়েছিল কিভাবে খেলা রপ্ত করতে হয় এবং বলেছিল ‘তুমি চাইলে সময় নাও এবং আইপিএলে যেমন খেলেছ তেমনি স্বাধীনভাবে খেলতে পারো”।
ইশান তাঁর পঞ্চাশ পৌঁছানোর পর পরই তার ব্যাট উত্তোলন করেননি এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন: “আমি নার্ভাস ছিলাম না। আসলে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে আমি পঞ্চাশে পৌঁছেছি এবং যখন বিরাট ভাই আমাকে ‘টপ ইনিংস’ বললেন, তখন আমি বুঝতে পারলাম। কিন্তু সাধারণত, আমি হাফ-সেঞ্চুরি করার পর ব্যাট খুব একটা তুলি না, হয়তো একবার বা দুইবার। কিন্তু তারপর বিরাট ভাই আমাকে চেঁচিয়ে বলে “ওয়ে, চারো তারাফ ঘুম কে ব্যাট দিখা, সবকো ব্যাট দিখা, পেহলা ম্যাচ হ্যায় তেরা”।
