
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লজ্জাজনকভাবে অ্যাশেজ সিরিজ হেরে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করছে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নাজেহাল অবস্থায় পরাজিত হল ইংলিশ বাহিনী। বলতে গেলে একরকম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আত্মসমর্পণ করলো ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে নজর কেড়েছেন জেসন হোল্ডার।
তিনি ব্যক্তিগত ৩.৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। প্রথম ১০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। তার মধ্যে ২ উইকেটই তুলে নেন জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস জর্ডন সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। ২২ রান করেন আদিল রশিদ। অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান করেন ১৭ রান। ১৪ রান করেন জেমস ভিনস। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো তো দূরের কথা ৫-এর বেশি রানই করতেই পারেননি। জেসন হোল্ডারের বিধ্বংসী বলে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংলিশ বাহিনী। সাথে শেলডন কটরেল নিয়েছেন ২ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বল বাকি থাকতেই ১ উইকেটে ১০৪ রান করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেন করতে নেমে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেন ব্র্যেন্ডন কিং। শাই হোপ ২০ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন। ২৯ বলে ২৭ করে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ইতিপূর্বে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপর ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় নিঃসন্দেহে ক্যারিবিয়ানদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। অ্যাশেজ সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের লজ্জাজনক পরাজয় একাধিক প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
