
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর রাজস্থান রয়্যালসকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে এই মরসুমের টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতেছে। এই হারের সাথে রাজস্থান চার ম্যাচে তাদের তৃতীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হল। আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি টসে জিতে রাজস্থানকে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। রাজস্থান মাত্র ১৮ রানে তাদের প্রথম ৩ উইকেট হারায়।
সেখান থেকে শিবম দুবে, রিয়ান পরাগ ও রাহুল তেওয়াতিয়া কিছু মূল্যবান ইনিংস খেলে দলকে ২০ ওভারে মোট ১৭৭/৯-এ পৌঁছাতে সহায়তা করেন। বোলিংয়ে মোহাম্মদ সিরাজ ও হর্ষল প্যাটেল ৩টি করে উইকেট তুলে নেন। এই রান তাড়া করতে নেমে দেবদত্ত পাদিক্কাল ও বিরাট কোহলি কোনও উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করেন। আরসিবি ২১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয়। দেবদত্ত পাদিক্কাল ৫২ বলে ১০১ রান করে দুর্দান্ত শতরান করেছিলেন। বিরাট করেন ৭২।
চলুন দেখে নেওয়া যাক রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যে লড়াই শেষ হওয়ার পরে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডগুলি:
১. বিরাট কোহলি ও দেবদত্ত পাদিক্কলের মধ্যে ১৮১ রানের পার্টনারশিপ আইপিএলে আরসিবির সর্বকালের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী পার্টনারশিপ। সামগ্রিকভাবে, এটি আইপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ উদ্বোধনী পার্টনারশিপ।
২. আজকের ম্যাচে আরসিবি একটিও উইকেট না হারিয়ে ১৭৮ রান তাড়া করে,যা আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ সফল রান চেস।
৩. বিরাট কোহলি তার ৭২ রানের ইনিংস খেলে তার আইপিএল ক্যারিয়ারের ৬০০০ রান সম্পন্ন করেন এবং প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই মাইলফলক অর্জন করেন।
৪. এই নিয়ে চতুর্থবার আরসিবি ১০ উইকেটের ব্যবধানে আইপিএল খেলায় জয় লাভ করে।
৫. দেবদত্ত পাদিককাল তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় যিনি আইপিএল শতরান করলেন। এই তালিকায় তিনি মণীশ পাণ্ডে এবং ঋষভ পন্থের পিছনে রয়েছেন।
৬. এটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ২০০তম আইপিএল খেলা ছিল। তারা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পরে দ্বিতীয় দল হিসাবে আইপিএলে ২০০ ম্যাচে অংশ নিলেন।
৭. এটি নিয়ে আইপিএলে ৪৫ তম বার বিরাট কোহলি ৫০-এর বেশি রান করলেন।
২- বিরাট কোহলি ১২৯তম আইপিএল ম্যাচে আরসিবি দলকে নেতৃত্ব দিলেন এবং আইপিএল অধিনায়ক হিসেবে গৌতম গম্ভীরের সাথে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেন বিরাট।
