
খেলার মাঠে পৃথিবীর সেরা ১০ জন আগ্রাসী ক্রিকেটারের কথা উল্লেখ বিরাট কোহলির নাম থাকবে প্রথম দিকেই। ব্যাটের সাথে সাথে মুখেও যে বিরাট কোহলি কোন সময় স্থির থাকতে পারেন না তার প্রমাণ তিনি ইতিপূর্বে দিয়েছেন হাজারো বার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আগ্রাসী বিরাট কোহলিকে আবার দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে এবার আর ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন নয়, বরং অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রীতিমতো চটে গেলেন তিনি। সতীর্থের সমর্থনে শেষমেষ আম্পায়ারের সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
গতকাল কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচ শুরু হয়েছে। চলতি সিরিজের এটাই নির্ণায়ক ম্যাচ। বর্তমানে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ১-১ ব্যবধানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে ছিলেন না বিরাট কোহলি। আর তার ফলাফল ইতিমধ্যে ভুগেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভিরাট কহলি। খেলেন অনবদ্য ৭৯ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংস শেষে ভারত সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করে।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়তে থাকেন। জসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সামি আগুনের গতিতে বোলিং করতে থাকেন। প্রথম ঘণ্টাতেই সামিকে বল করার সময় সতর্ক করেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার মারায়াস ইরাসমাস (Marais Erasmus)। যা একেবারেই ভাল ভাবে মেনে নিতে পারেননি কোহলি। ইরাসমাসের দাবি ছিল যে, সামি বল করার সময় পিচের ‘ডেঞ্জার জোন’-এ ঢুকে পড়েছেন। পিচের ‘বিপজ্জনক এলাকা’ থেকে দূরে থাকার জন্য বোলারদের সতর্ক করার অধিকার রয়েছে আম্পায়ারদের।
বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন ভারতীয় অধিনায়ক। তিনি অন ফিল্ড আম্পায়ারের সাথে তর্কে জড়িয়ে বসেন। বিরাট কোহলির মতে মোহাম্মদ সামি ‘ডেঞ্জার জোন’ অতিক্রম করেননি। পরে রিপ্লাইয়ের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। আসলে অনফিল্ড আম্পায়ার ভুল নির্ণয় নিয়েছিলেন, আর সেই জন্য বিরাট কোহলি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
Erasmus gives a official warning to Shami for running in danger zone#INDvSA #Cricket #Shami pic.twitter.com/94790SQTCr
— Pushkar Pushp (@ppushp7) January 12, 2022
