
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান স্বীকার করলেন যে কেকেআর ব্যাটসম্যানদের জেতার অভিপ্রায়ের অভাব ছিল। টানা চার ম্যাচ হেরে তলানিতে পৌঁছায় কেকেআর। ৬ উইকেটে কেকেআরেকে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান।নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৩ রান করে কেকেআর। ১৮.৫ ওভারের মাথায় সেই টার্গেট চেস করে নেয় রাজস্থান। আরও ১টি হার হজম করতে হল কলকাতাকে।
চতুর্থ হারের পর মর্গান বলেন, শনিবারের লড়াইয়ের শুরু থেকেই পিছিয়ে পরেছিল কেকেআর। “দলের ব্যাটিং আমাদের হতাশ করেছে। পুরো ইনিংস জুড়ে আমাদের তাগিদের অভাব ছিল। বোলারাও যথেষ্ট চাপ তৈরি করতে পারেনি। রাজস্থান পিচের সাথে অনেক ভালভাবে মানিয়ে নিয়েছে। আমার মনে হয় আমরা সম্ভবত ৪০ রান কম করেছিলাম” ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনায় মর্গান বলেন।
জয়দেব উনাদকাট, চেতন সাকারিয়া ও মুস্তাফিজুর রহমানদের ত্রিমুখী বাঁ হাতি আক্রমণের বিরুদ্ধে বাউন্ডারি পেতে হিমশিম খান কেকেআর ওপেনার নীতিশ রানা ও শুভমান গিল। পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ২৫ ছিল। “আজকের উইকেটটি ওয়াংখেড়েতে ততটা ভাল ছিল না। এটি একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। যখনই আমরা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছি, তখনই একটি উইকেট হারিয়েছি” একটিও বলের মুখোমুখি না হয়ে রান আউট হওয়া মরগ্যান বলেন, “পিছনের দিকে দীনেশ কার্তিক এবং আন্দ্রে রাসেল অনেক কিছু করতে পারত কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।”
রয়্যালস তাদের ওপেনার জস বাটলার (৫) এবং ইয়াশাসভি জয়সওয়ালকে (২২) পাওয়ারপ্লেতে হারায় কিন্তু তারা কখনই রান তাড়া করার নিয়ন্ত্রণ হারায়নি এবং পাঁচ ম্যাচে তাদের দ্বিতীয় জয় পায় রাজস্থান। আইপিএল নিলামের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল খেলোয়াড় মরিস চার ওভারে ২৩ রানে চার উইকেট নিয়ে তার যোগ্যতা প্রমাণ করেন। অন্যান্য পেসার জয়দেব উনাদকাট (১/২৫), চেতন সাকারিয়া (১/৩১) ও মুস্তাফিজুর রহমান (১/২২) মূল্যবান অবদান রেখেছেন।
