
তৃতীয় দিনে ২৭৬ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে ভারত। যার ফলশ্রুতিতে নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয় ৫৪০ রান। প্রথম ইনিংসে মায়ানক আগারওয়াল, শুভমান গিল এবং অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারত সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। মায়ানক আগারওয়াল ব্যক্তিগত ১৫০ রানের ইনিংস খেলেন। সাথে অক্ষর প্যাটেল খেলেন ৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের হয়ে আজাজ প্যাটেল ভারতের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ১০ উইকেট দখল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
প্রথম ইনিংসে শেষে ভারতের দেওয়া ৩২৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে নিউজিল্যান্ড। ৩২৫ রানের লিড তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। দলের জন্য রবীচন্দ্রন অশ্বিন চারটি এবং মোহাম্মদ সিরাজ তিনটি উইকেট দখল করেন। ৬২ রানে অলআউট হওয়ায় ২৬৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে ভারত।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে মায়ানক আগারওয়ালের সাথে ওপেনিং জুটি বাঁধেন চেতেশ্বর পুজারা। দুজনের ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে মায়ানক আগারওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রানের ইনিংস। চেতেশ্বর পুজারা এবং শুভমান গিল দুজনেই করেন ৪৭ রান। সঙ্গে অধিনায়ক বিরাট কোহলি যুক্ত করেন ৩৬ রানের ইনিংস। তৃতীয় দিনে ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে। ফলশ্রুতিতে নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫৪০ রান।
বিশাল রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় নিউজিল্যান্ড। দিনশেষে মূল্যবান ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ মাত্র ১৪০ রান। দলের হয়ে ড্যারিল মিচেল ব্যক্তিগত ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। বর্তমানে হেনরি নিকোলস ব্যক্তিগত ৩৬ রানে ক্রিজে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দলের হয়ে রবীচন্দ্রন অশ্বিন ব্যক্তিগত তিনটি এবং অক্ষর প্যাটেল ব্যক্তিগত একটি উইকেট তুলে নিয়েছেন। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন আর মাত্র ৫ উইকেট। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৪০০ রান।
