
টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি র পর, ভারত বনাম ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজ ২৩শে মার্চ শুরু হয়। একদিনের সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত ইংল্যান্ডকে ৬৬ রানে পরাজিত করে এবং ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতের জয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির জন্য অনেক ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, ভারত বনাম ইংল্যান্ডের প্রথম একদিনের ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে ওঠে দুই অভিষেককারী প্রসিধ কৃষ্ণ ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার জন্য।
শিখর ধাওয়ান তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একটি চ্যালেঞ্জিং পিচে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে দুই অভিষেককারী ফাইট-ব্যাক করার যে মনোভাব দেখিয়েছে,তাতে উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের জয় ‘সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে মিষ্টি জয়’। অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং ডানহাতি ফাস্ট বোলার প্রসিধ কৃষ্ণ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে তাঁদের প্রতিভা প্রদর্শন করে তাক লাগান।
অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়া মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতরান করে ওয়ানডে অভিষেকেই বিশ্বের দ্রুততম ডেবিউ ব্যাটসম্যান হন। ৩১৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো ইংল্যান্ডের হয়ে বিস্ফোরকভাবে ম্যাচ শুরু করেন। প্রকৃতপক্ষে, ৩১৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে টিম ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ১৩৫ রান করে। ভারতীয় বোলাররা রয় এবং বেয়ারস্টো আধিপত্য থামাতে রীতিমতো সংগ্রাম চালায়। যাইহোক, অভিষেককারী প্রসিধ কৃষ্ণ রয় এবং বেয়ারস্টোর পার্টনারশিপ ভেঙ্গে দেন। জেসন রয়কে ৪৬ রানে ফিরত পাঠান তিনি। এরপর কৃষ্ণ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে থাকেন। তাঁর বোলিং স্পেলে বেন স্টোকস ১ রান, স্যাম বিলিংস ১৮ রান এবং টম কারান ১১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
২৫ বছর বয়সী এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার তার প্রথম ম্যাচে একটি বিশেষ মাইলফলক অর্জন করেন। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষে, প্রসিধ কৃষ্ণ ৫৪ রান দিয়ে ৮.১ ওভারে ৪ টি উইকেট নেন। প্রসিধ কৃষ্ণই হলেন প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি ডেবিউ ম্যাচেই ৪ টি উইকেট নেন। পাশাপাশি প্রসিধ নোয়েল ডেভিডের ২৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন। ডেভিড ১৯৯৭ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি অভিষেক ম্যাচে ২১ রানে ৩ টি উইকেট নিয়েছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রসিধ কৃষ্ণর বোলিং একটি নজিরবিহীন রেকর্ড হয়ে রইল। পোস্ট ম্যাচ ইন্টারভিউতে প্রসিধ কৃষ্ণ বলেন, “আমি একজন হিট-দ্য-ডেক বোলার হিসেবে পরিচিত হতে চাই।”
