
৬ রানে হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জিতল ব্যাঙ্গালোর। টসে জিতে বোলিং নিল হায়দ্রাবাদ। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দল আজ এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (এসআরএইচ) সাথে তাদের দ্বিতীয় লড়াই লড়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে পৌঁছায় ব্যাঙ্গালোর। সেই রান চেস করে ১৪৩ রানে পৌঁছায় হায়দ্রাবাদ।
বিরাট কোহলির সাথে দেবদত্ত পাদিককাল ইনিংসের ওপেনিং করেন। ২.৫ ওভারের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। দেবদত্ত পাদিককাল ১৩ বলে ১১ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ক্যাচ আউট হন। অধিনায়ক কোহলি ২৯ বলে ৩৩ রান সংগ্রহ করে জেসন হোল্ডারের বলে ক্যাচ আউট হন। শাহবাজ আহমেদ ১০ বলে ১৪ রান করেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাঠে নেমে দলের রান টেনে নিয়ে যান। ৪১ বলে ৫৯ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। তাঁর এই ইনিংস দলকে রানের দিক থেকে একটু সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। ডিভিলিয়ার্সের জন্য আজকের দিনটি মোটেই ভালো ছিল না। ৫ বলে মাত্র ১ রান করে রশিদ খানের বলে ক্যাচ আউট হন ক্যাচটি নেন ওয়ার্নার। ওয়াশিংটন সুন্দর ১১ বলে ৫, ক্রিশ্চিয়ান ২ বলে ১, জেমিসন ৯ বলে ১২ রান করেন।
হায়দ্রাবাদের বোলাররা প্রথম থেকেই বিরাটদের চাপে রাখে। হায়দ্রাবাদের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন তিনি। রশিদ খান নেন ২টি উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার, নটরাজন ও নাদিম ১টি করে উইকেট পান।
হায়দ্রাবাদের হয়ে ওপেনিং স্লটে ব্যর্থ হন ঋদ্ধিমান সাহা। ৯ বলে ১ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। অন্যদিকে ৩৭ বলে ৫৪ রান করেন ওয়ার্নার। ১৬.১ ওভারের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পরে। জেমিসনের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপরই খেলা অন্ন মোড় নেয় ঠিক পরের বলেই বেয়ারস্টো ১৩ বলে ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মণীশ পাণ্ডে ৩৯ বলে ৩৮ রান করেন। আহমেদ ২,বিজয় শঙ্কর ৩, হোল্ডার ৪ রান করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আউট হতে যান। ১৮.৩ ওভারের মাথায় ৭ টি উইকেটের পতন ঘটে। রশিদ খান মাঠে নেমে রান বেশ চেস করে ফেললেও ১৯.৪ ওভারে মহম্মদ সিরাজের দ্বারা রান আউট হন তিনি। নাদিম ক্রিজে নেমেই আউট হন। শেষ বলে ৮ রান বাকি থাকাকালীন আরসিবি ম্যাচটি জিতে নেয়। ২০ ওভার শেষে হায়দ্রাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ১৪৩। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে শাহবাজ আহমেদ ৩ টি উইকেট নেন। মহম্মদ সিরাজ ও হর্ষল প্যাটেল নেন ২টি করে উইকেট। জেমিসন পান ১টি উইকেট।
