
এ যেন এক অসমাপ্ত উপন্যাস। প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন সত্যি হতে গিয়েও থমকে দাঁড়ালো। চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজিমাত করেছিল বিরাট বাহিনী। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাটের অনুপুস্থিতিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সিরিজ জয়ের আশা তখনও জেগেছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। লক্ষ্য ছিল কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচের দিকে। তবে দিনশেষে সেই চালকের আসনে বসে পড়ল এলগার বাহিনী। হয়তো চলতি সফরেও শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হবে বিরাট বাহিনীকে।
গত ১১ই জানুয়ারি থেকে কেপটাউনে শুরু হয়েছে সিরিজের শেষ ম্যাচ। যেখানে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তবে ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতা ভারতকে অনেকটাই ম্যাচ থেকে বাইরে বের করে দেয়। বিরাট কোহলির ৭৯ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ভারত ২২৩ রান সংগ্রহ করে। তবে জসপ্রীত বুমরাহর বিধ্বংসী বলে বেশিদুর অগ্রসর হয়নি প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। একের পর এক উইকেট তুলে প্রোটিয়াদের মাত্র ২১০ রানে অলআউট করে ভারতীয় বোলাররা।
প্রথম ইনিংস শেষে ভারত ১৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতা আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ভারতীয় দলে। ওপেনিং জুটিতে মায়ানক আগারওয়াল এবং কে এল রাহুলের ফের ব্যর্থ প্রচেষ্টা, মিডল অর্ডারে চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্কা রাহানে স্রোতে গা ভাসিয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং ঋষভ পন্থ দলের দায়িত্ব তুলে নেন নিজেদের কাঁধে। তবে মাত্র ২৯ রানে অধিনায়কও ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ঋষভ পন্থ একাই ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে। তবে তাকে সঙ্গ দেননি কোন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ঋষভ পন্থের অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৯৮ রান সংগ্রহ করে। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্যমাত্রা ২১৩ রান।
