
রবিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড জিতে যাওয়ায় খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে ভারতকে। অধিনায়ক হিসেবে শেষ টুর্নামেন্টে একরাশ হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরছেন বিরাট কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে এবারের মতো গল্প শেষ ভারতের। বিরাট-শাস্ত্রীর অধ্যায় শেষ হল হতাশা দিয়েই। সোমবার নামিবিয়ার বিরুদ্ধে নিয়ম-রক্ষার ম্যাচ খেলে ঘরে ফিরবে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই রবি শাস্ত্রীর বদলে দলের নতুন হেড কোচ হতে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। শোনা যাচ্ছে অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে রোহিত শর্মাকে। তবে সরকারিভাবে এখনো কিছু ঘোষণা করা হয়নি ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে।
এবার বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের এই লজ্জার হারের পর আবারো বিরাট কোহলির গোড়ার দিকে দল থেকে ছিটকে যাওয়ার একটি ঘটনা উঠে এসেছে সকলের সামনে। সেদিন দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সহ-অধিনায়ক বীরেন্দ্র শেহবাগের জন্যই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০১১ সালে অভিষেক সিরিজে তিনটি ম্যাচ মিলিয়ে মোট ৭৬ রান করেকরেছিলেন বিরাট কোহলি। এরপরে দল থেকে তিনি বাদ পড়েছিলেন। সেই বছরেই ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দলে পুনরায় ফিরেছিলেন তিনি। এর পরেরবছর অস্ট্রেলিয়া সফরে যান কোহলি। অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের মতোই তিনিও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামলাতে পারছিলেন না। সেই সময়ে তাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় মিডিয়াতে। দল থেকে তকে বাদ দেওয়ার কথাও উঠেছিল।
তবে সেইসময় তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেইসময় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সহ-অধিনায়ক বীরেন্দ্র শেহবাগ। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৭৫ রান করেছিলেন কোহলি। তবে সেই ম্যাচে ৩৭ রানে হেরে গিয়েছিল ভারত। এরপরে চতুর্থ টেস্টে শতরান করেছিলেন বর্তমান অধিনায়ক। মাত্র ৮টি ম্যাচে খেলেই ৩৭৩ রান করেতিন ফেলেছিলেন তিনি। সেইসময় তার দুর্দান্ত ফর্ম বজায় থাকার কারণেই এশিয়া কাপে সহ অধিনায়ক করা হয়েছিল বিরাট কোহলিকে। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনি নেতৃত্বে ছেড়ে দেওয়ার পর দলের অধিনায়ক হন বিরাট কোহলি।
ঘটনাটি প্রায় নয় বছর আগেকার। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় অনেক দিন আগেই এমন ঘটনার কথা সকলকে জানিয়েছিলেন শেহবাগ। ২০১৬ সালে ভারত ইংল্যান্ড সফরের সময় এমন ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন বীরু ভাই। তবে ভারতের হারের পর পুনরায় এই ঘটনার কথা উঠে এসেছে সকলের সামনে।
