
একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান এবং একজন ব্যতিক্রমী বোলার, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেব সর্বকালের অন্যতম মহান ক্রিকেটার। খেলার দুটি বিশুদ্ধ ফরম্যাটে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল সর্বদা ক্রিকেটীয় আলোচনার সময় গঠনমূলক সমালোচনা প্রদানের জন্যও পরিচিত। ২০১৭ সালে একটি প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার এবং বর্তমান প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। কপিল অভিমত প্রকাশ করেন যে শাস্ত্রীর প্রতিভা নেই তবে প্রাক্তন ক্রিকেটারের টিম ইন্ডিয়ার জন্য বিস্ময়কর কাজ করার সংকল্প ছিল।
“শাস্ত্রী এমন একজন ক্রিকেটার যার কোনও প্রতিভা ছিল না। কিন্তু ভারতের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছে। আমি মনে করি এটা একটা বড় কৃতিত্ব” একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কপিল বলেন, “দুই ধরনের ক্রিকেটার রয়েছে, যাদের প্রতিভা রয়েছে কিন্তু কম খেলেছে, কেউ কেউ প্রতিভা নিয়ে আসে না, অথচ বহু দিন ধরে খেলেছে।” রবি শাস্ত্রীর মধ্যে সংকল্প ছিল। দলে আমরা এটিকে মূল্য দিই। আমরা বলতাম ‘রবি শুধু ৩০ ওভার খেল যদি ১০ রানও পায় তাতে কিছু যায় আসে না। ৩০ ওভার খেলাই বিশাল ব্যাপার। বল পুরনো হয়ে গেলে তখন রান করাও সহজ হয়ে যায়।”
শাস্ত্রী বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া দলের বর্তমান প্রধান কোচ। শাস্ত্রী ১৯৮৫ সালের ক্রিকেট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে জয়ের পথ দেখানোর জন্য স্মরণীয়। শাস্ত্রী টুর্নামেন্টে তাঁর দুর্দান্ত প্রচেষ্টার জন্য ম্যান অফ দ্য সিরিজ সম্মানও জিতেছিলেন। “আমি রবি শাস্ত্রীর সামনেও এটা বলছি যে ওর প্রতিভা নেই। তিনি সেরা অ্যাথলিটও ছিলেন না। সেই জন্যই আমি ওর প্রশংসা করি। আরেকজন ছিলেন অনিল কুম্বলে। সেও ভালো অ্যাথলিট ছিল না। কিন্তু আপনি তাঁর খেলা দেখলে বুঝবেন তাঁর চেয়ে ভাল কেউ করতে পারে না,” বলেন কপিল।
শাস্ত্রী ভারতের হয়ে ৮০ টি টেস্ট খেলেছিলেন যেখানে অলরাউন্ডার ৩৮৩০ রান করেছিলেন এবং ১৫১ উইকেট পেয়েছিলেন। ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে শাস্ত্রী ৪৬৫০ রান সংগ্রহ করেন এবং ১২৯ উইকেট তুলে নেন। শাস্ত্রী ১৯৯২ সালে কিংসমিডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের হয়ে তার চূড়ান্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।
