
ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা ছড়াবে না সেটা কি হতে পারে? আর তা যদি হয় বাঙ্গালীদের হৃদয়ের মানুষ সৌরভ গাঙ্গুলী কে নিয়ে তাহলে কি তা ভোলা যায়? বাংলার গর্ব সৌরভ গাঙ্গুলী এবং ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ খেলা চলাকালীন বারবার উত্তেজিত হতে দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের সেই আনন্দ কিংবা লর্ডসের মাঠে তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সৌরভ গাঙ্গুলীর জামা খুলে ঘোরানো ভোলা যায় কি?
যেন জন্ম-জন্মান্তরের শত্রুতা ছিল সৌরভ গাঙ্গুলী এবং অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের মধ্যে। অথচ ২০০০ সালের দিকে তারা একে অপরের প্রিয় বন্ধু হিসাবে পরিচিত হোন। সালটা ২০০২, ইংল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে একটি টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সৌরভ গাঙ্গুলী ব্যাট করছিলেন। সেই সময় অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ টয়লেট করার জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীর যখন ব্যক্তিগত রান ৯৯, তখন ইংলিশ বলার স্টিভ হামিসনের একটি বলে আউট হয়ে যান সৌরভ গাঙ্গুলী। এই খবর জানতে পেরে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ টয়লেট থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসেন খবরটি আসলে সত্যি কিনা যাচাই করার জন্য।
সৌরভ গাঙ্গুলী যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছিলেন তখন অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ মাঠে নামছিলেন। ঠিক তখনই তাদের মধ্যে চলে কটু কথা বিনিময়। সৌরভ গাঙ্গুলী কথার জবাব দিতে একটুও দেরি করেননি। তিনি অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের করা উক্তির যোগ্য জবাব দেন। যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনায় আসেন সৌরভ গাঙ্গুলী এবং অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ। বর্তমানে সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু তার কীর্তি আজও মানুষের মাঝে যেন গর্বের বিষয়।
