
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আজ মুখোমুখি হবে ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই উভয় দল টেবিলের শীর্ষে থাকার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে।
ডেভিড ওয়ার্নার এবং ঋদ্ধিমান সাহার যুদ্ধংদেহী ওপেনিং জুটি কেকেআরের বোলারদের বিপাকে ফেলবে। এসআরএইচ-এর মিডল-অর্ডার কিছুটা উদ্বেগ থাকলেও, হোল্ডার এবং শঙ্কর যদি নিজেদের ফর্মে থাকেন তাহলে সেটা হায়দ্রাবাদের জন্য বিস্ময়কর কাজ করবে। হোল্ডার গত মৌসুমে ৭ খেলায় ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন এবং অলরাউন্ডার হিসেবে তার গুণ দেখিয়েছিলেন। এসআরএইচ-এর বোলিং বিভাগ ঈর্ষণীয় এবং টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। ভুবনেশ্বর কুমারের সুইং এবং রশিদ খানের লেগ ব্রেক এসআরএইচ-এর শক্তিশালী অস্ত্র।
আন্দ্রে রাসেল নিঃসন্দেহে কেকেআরের মেরুদণ্ড। তিনি স্টেডিয়াম জুড়ে ছক্কার বন্যা বইয়ে দিতে পারেন এবং তিনি তার বোলিংয়ের মাধ্যমে সময়োপযোগী উইকেট নিয়ে দলে সমতা ফেরাতেও পটু। প্যাট কামিন্স ছাড়া কেকেআরের বোলিং বিভাগ কিছুটা অনভিজ্ঞ এবং এটি কেকেআরের জন্য সামান্য উদ্বেগের বিষয় হবে। তবে বোলিং আক্রমণে প্যাট কামিন্স, কমলেশ নাগরকোটি, শিবম মাভি, বরুণ চক্রবর্তী এবং পবন নেগি। একই বোলিং আক্রমণ আইপিএল ২০২০ তে বিপক্ষের পক্ষে খুব কঠিন প্রমাণিত হয়েছিল। অভিজ্ঞ অফ-স্পিনার হরভজন সিং রোস্টারে থাকায় অন্য বোলাররা তাঁর কাছ থেকে কিছু মূল্যবান পরামর্শ পেতে পারেন। শুভমান গিল বেশ মার্জিত ব্যাটসম্যান এবং এই বছরও তাঁর থেকে একই ফর্ম আশা করছে ভক্তরা। কেকেআরের নতুন সংযোজন শাকিব আল হাসান অলরাউন্ডার হিসেবে বিপক্ষ দলকে চাপে রাখতে পারেন।
ড্রিম 11 টিমঃ দীনেশ কার্তিক, ঋদ্ধিমান সাহা, ডেভিড ওয়ার্নার (VC), ইয়ন মর্গ্যান, মণীশ পাণ্ডে, রাহুল ত্রিপাঠী, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার (C), প্যাট কামিন্স, প্রসিধ কৃষ্ণ, রশিদ খান।
