
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক পদ থেকে আমাকে সরানো হচ্ছে সেই খবর মাত্র দেড় ঘন্টা আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আমাকে জানিয়েছিল। তাছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ না ছাড়ার জন্য সৌরভ গাঙ্গুলী আমাকে একটি কথাও বলেননি। বরং তারা আমার সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছিলেন। বিরাট কোহলির এমন মন্তব্যে রীতিমত তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় গণমাধ্যম। কারণ অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথমবারের জন্য মুখ খুলেছিলেন বিরাট কোহলি। আর সেখানেই বোমা ফাটিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা এবং তিনি বিরাট কোহলিকে অনুরোধ করেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব না ছাড়ার জন্য। কিন্তু বিরাট কোহলি নাকি তাদের অনুরোধ রাখেননি। তিনি তার নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোন অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য বিরাট কোহলিকে ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু তিনি কোন রকম প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির দ্বিমত বক্তব্য রীতিমতো একাধিক প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। তার মতে, যদি বোট প্রেসিডেন্ট এবং অধিনায়কের মধ্যে দ্বিমত চলতে থাকে সে ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট হুমকির মধ্যে পড়বে। বিরাট কোহলি নিজের মন্তব্য রেখেছেন সংবাদমাধ্যমে। অন্যদিকে সৌরভ গাঙ্গুলীও নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। এখন কে সঠিক বলছে সেটি নির্ণয় করা প্রয়োজন। আর এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গুলি। তাকে অবশ্যই বিরাট কোহলির যুক্তি খন্ডন করা প্রয়োজন।
