
কেনিয়ার নাইরোবিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল তার। স্টিভ ওয়াহকে ওই ম্যাচে বোল্ড করে বোলার হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন জাহির খান। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে। কপিল দেব, জাভাগাল শ্রীনাথের পরবর্তী সময়ে যদি কোন বোলার সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে তিনি আর কেউ নন, তিনিই জাহির খান। বাম হাতের বোলিংয়ের জাদুতে রীতিমতো দিশাহারা হয়েছে একাধিক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এবার সেই কথা স্বীকার করে নিলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ।
এদিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমার ক্যারিয়ারে যেসব বোলারদের বিরুদ্ধে আমি খেলেছি তারমধ্যে সেরা স্কিলফুল বোলার হলেন জাহির খান। বিশেষ করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন জাহির। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য ও বল বাইরের দিকে সুইং করাতে পারতো। হাতের পজিশন একই রকম রেখে গতির হেরফের করতে পারত ও। তাছাড়া রিভার্স সুইং করার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। যা যে কোন ব্যাটসম্যানকে বিপদে ফেলার জন্য যথেষ্ট বিপদজনক হয়ে উঠত। বিশেষ করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে ভয়ের আরেক নাম হয়ে উঠেছিলেন জাহির খান।
উল্লেখ্য, মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন গ্রেম স্মিথ। আপনাদের জানিয়ে রাখি, দেশের হয়ে মাত্র ৮টি টেস্ট এবং ২২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পরেই নবীন গ্রেম স্মিথের কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছিল দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। দলের দায়িত্ব নিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন গ্রেম স্মিথ। বলতে গেলে তার নেতৃত্বে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট দল। তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে, দেশের হয়ে ১১৭টি টেস্ট এবং ১৯৭টি ওয়ানডে খেলেন তিনি। টেস্টে ৪৮.২৫ গড়ে ৯২৬৫ রান করেছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে তার ঝুলিতে ৬৯৮৯ রান। জাহিরের বিরুদ্ধে ২৭টি ইনিংস খেলে ১৪ ইনিংসে তিনি আউট হয়েছিলেন।
