
আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্ট জয়ের উদ্দেশ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সম্প্রতি অধিনায়ক বদলের শুরু করেছে। ২০১৪ সাল থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান সময়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। তবে তার নেতৃত্বে ভারত কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছিল না। একের পর এক টুর্নামেন্ট হেরে হাজারো প্রশ্নের সৃষ্টি করেন বিরাট কোহলি। যার ফলশ্রুতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই বিষয় সংক্রান্ত চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করে বিসিসিআই। প্রথমে টি-টোয়েন্টি তারপর ওডিআই এবং সর্বশেষ টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিরাট কোহলিকে।
তবে এবার প্রশ্ন আন্তরাষ্ট্রীয় সিরিজ জেতা! বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে প্রথমবারের মতো ভারত ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় করার গৌরব অর্জন করেছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছে ভারত। তবে ভারতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ায় ভারতীয় দলের এখন অবস্থা করুন। পরপর দুটি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লজ্জাজনকভাবে পরাজয় ঘটেছে টিম ইন্ডিয়ার। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো উত্তপ্ত। আইসিসি শিরোপা অর্জনের জন্য অধিনায়ক পরিবর্তন করে শেষমেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ জয় বন্ধ হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার জন্য!
ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন, বিরাট কোহলিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আসলে কি ভারতীয় ক্রিকেট লাভবান হলো? বিরাট কোহলি নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের সাফল্য আকাশ ছোঁয়া। আইসিসি ট্রফি অর্জন করতে না পারলেও একের পর এক আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছে ভারতীয় দল। এমন কি সম্প্রতি বিরাট কোহলির নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। তবে ভিরাট কোহলিকে দায়িত্ব থেকে সরানো আদৌ কতটা যুক্তিসঙ্গত হলো ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য?
উল্লেখ্য, বিরাটের অনুপস্থিতিতে ইতিমধ্যে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটি সিরিজে পরাজিত হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা মনে করছেন, বিশ্বকাপ জয়ের উদ্দেশ্যে অধিনায়ক পরিবর্তন করে শেষমেষ Paytm শিরোপা জয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেল ভারতীয় দলের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে এবং ওডিআই সিরিজ ২-০ ব্যবধানে ইতিমধ্যে হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। অধিনায়কত্ব থেকে বিরাট কোহলিকে অব্যাহতি দেওয়ার পর ইংলিশ ক্রিকেটার মাইকেল ভন এবং পাক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় ক্রিকেট কতটা লাভবান হবে? ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
