
কিছুদিন আগে পর্যন্ত ভারতীয় দলে ছিলনা কোন নিয়ম শৃঙ্খলা। লেট নাইট পার্টি হোক কিংবা আনফিট ক্রিকেটার, নামেই সুযোগ পেয়ে যেত ভারতীয় দলে। সেই প্রথা বদলানোর জন্য শক্ত হস্তে নিয়ম চালু করলেন বর্তমান ভারতীয় দলের হেডস্যার রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় দলে যখন প্রধান কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলে দায়িত্ব পালন করতেন তখন এসব নিয়ম কঠোর হস্তে পালন হত। কিন্তু রবি শাস্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর কার্যত নিয়মকানুন লাটে উঠেছিল ভারতীয় দলে। ফিটনেস টেস্ট তো দূরে থাক লেট নাইট পার্টি করেও পরের দিন মূল একাদশে সুযোগ পেয়ে যেতেন ক্রিকেটাররা।
এবার সেই ধারাবাহিকতায় অঙ্কুশ লাগাতে হাতে লাঠি ধরলেন রাহুল দ্রাবিড়। যে ক্রিকেটার হোক না কেন যদি চোটের কারণে দল থেকে বেরিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে তবেই দলে ফিরতে পারবেন সেই ক্রিকেটার। ধারাবাহিক ফর্ম না থাকলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে সব ক্রিকেটারের উপর। রঞ্জি ট্রফি কিংবা মোস্তাক আলী ট্রফি খেলে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে ওইসব ক্রিকেটারকে। সেখানে ভাল ফলাফল করলে তবেই জাতীয় দলের দরজা খুলবে ওই ক্রিকেটের জন্য, এমনটাই জানিয়ে দিলেন ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
অথচ রবি শাস্ত্রির জামানায় নিয়ম বলে কোন কিছুই ছিলোনা ভারতীয় দলে। যার কারণে চোটে জর্জরিত থাকার পরেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে যান ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। আর বিশ্বকাপের মঞ্চে তার ফল ভোগ করেছে ভারত। যার জন্য ভারতীয় দলের নির্বাচকরা একাধিক মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছেন। চোট থেকে ফিরে সোজা জাতীয় দলে খেলার সুযোগ মিলেছে শ্রেয়াস আইয়ারের। যদি টেস্ট অভিষেক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি না আসতো সে ক্ষেত্রে একই প্রশ্নের মুখে পড়তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাই এ বিষয়ে আর কোনরকম ভ্রুক্ষেপ করতে চায় না ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান রাহুল দ্রাবিড়। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে ফিটনেস টেস্টে পাস করেই তবেই জাতীয় দলের দরজা খুলবে যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য।
