
বক্সিং ডে তে সেঞ্চুরিয়ানের শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট এখন ভারতের হাতের মুঠোয়। প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয় তুলে নিতে ভারতের প্রয়োজন একদিনে ৬ উইকেট। অন্যদিকে ম্যাচ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এখন বিশাল লক্ষ্য। অধিনায়ক ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকলেও ম্যাচ জয়ের জন্য এখনো ২১১ রান প্রয়োজন তাদের। কে এল রাহুল এবং মায়ানক আগারওয়াল এর ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। ওপেনিং জুটিতে ১১৭ রানের পার্টনারশিপ তৈরি হয়। প্রথম দিনের শেষে ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করে। কে এল রাহুল অনবদ্য ১২২ এবং চেতেশ্বর পুজারা অনবদ্য ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা বৃষ্টি জনিত কারণে স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় আম্পায়াররা।
তৃতীয় দিনে প্রথম ইনিংসের বাকি ব্যাটিং করার জন্য মাঠে নামে ভারত। কে এল রাহুল ১২৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অজিঙ্কা রাহানে করেন ৪৮ রান। তৃতীয় দিনের খেলায় অল্প রানে ভারত মূল্যবান সাতটি উইকেট হারায়। তৃতীয় দিনে ভারত মাত্র ৫৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। যার ফলশ্রুতিতে প্রথম ইনিংস শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৩২৭। দলের হয়ে লুঙ্গি এনগিডি ব্যক্তিগত ৬ উইকেট দখল করেন। তাছাড়া কাগিসো রবাদা ব্যক্তিগত ৩ উইকেট দখল করেন।
৩২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তৃতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের পেস বোলারদের বিধ্বংসী বোলিং এর সামনে মাত্র ১৯৭ রানে আত্মসমর্পণ করতে হয় প্রোটিয়াদের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা। এদিকে ভারতীয় পেস বোলার মোহাম্মদ সামি ব্যক্তিগত ৫ উইকেট দখল করেন। জসপ্রীত বুমরাহ এবং শার্দুল ঠাকুর দুটি করে উইকেট তুলে নেন। মোহাম্মদ সিরাজের খাতায় যুক্ত হয় একটি উইকেট। যদিও প্রথম ইনিংসে খালি হাতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এখনও ভারতের ১৩০ রানের লিড ছিল।
তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত মাত্র ১৭৪ রান যুক্ত করলেও প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা বিশাল হয়ে দাঁড়ায়। ৩০৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এখন লক্ষ্যমাত্রা ২১১ রানের। অন্যদিকে ভারতের প্রয়োজন এক দিনে মাত্র ৬ উইকেট।
