
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের লজ্জাজনক পরিণতির কথা ভেবে আতঙ্কে রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। যদি এমন ভাবে ভারতীয় দল পারফরম্যান্স করতে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটের দুর্বিষহ অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি আসন্ন। তাই যত সম্ভব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সুপরিকল্পীত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করেন একাধিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিক পান্ডিয়া পুরোপুরি ফিট না থাকলেও বাধ্য হয়ে ভারতীয় দলে তাকে জায়গা দিতে হয়েছে। না পেরেছেন ব্যাট হাতে রান করতে আর না পেরেছেন বল হতে বল করতে। অর্থাৎ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পুরোপুরিভাবে ফ্লপ।
এমন অবস্থায় প্রাক্তন ভারতীয় উইকেট রক্ষক সাবা করিম দুই তরুণ ক্রিকেটারকে ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার আর্জি জানিয়েছেন। তার মতে, ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। আর আমি মনে করি হার্দিক পান্ডিয়ার উপযুক্ত বিকল্প আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। প্রয়োজন শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক স্তরে অধিক থেকে অধিক পরিমাণে খেলানো। তিনি হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প হিসেবে সরাসরি কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ভেঙ্কটেশ আইয়ারের কথা বলেছেন। তার মতে এখনই উপযুক্ত সময় ভারতীয় ক্রিকেটে নির্দিষ্ট স্থানে একে খেলার সুযোগ দেওয়ার।
অন্যদিকে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে কে এল রাহুল কিংবা রোহিত শর্মার বিকল্প হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট দল ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে প্রস্তুত রাখতে পারে। ছেলেটি বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। মেধা সমুদ্রের অতল গহবরে হারিয়ে যাওয়ার পূর্বে ভারতীয় দলে জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার যত বেশি আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেট খেলবেন ভারতের জন্য ততটাই মঙ্গলজনক হবে বলে আমি মনে করি। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে ভেঙ্কটেশ আইয়ার দুটি সেঞ্চুরিসহ ৩৪৮ রান করেছেন। অন্যদিকে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় টানা তিনটি সেঞ্চুরি সহ ৪৩৫ রান সংগ্রহ করেছেন। জাতীয় স্তরে অভিষেক হওয়ার জন্য নিশ্চয়ই এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দরকার হয় না।
