জোহানেসবার্গের টেস্টে প্রোটিয়াদের সামনে ভারতের পরাজয় দীর্ঘদিনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে ভারতের। চলতি সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হতে চলেছিল ভারতীয় দলের জন্য। তবে জোহানেসবার্গে বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে প্রোটিয়াদের কাছে পরাজিত হয় ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজ বর্তমানে ১-১ ব্যবধানে সমতা বিরাজ করছে। আজ কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বিরাট বাহিনী। এই ম্যাচ তিনজন ভারতীয় ব্যাটসম্যানের ভাগ্য নির্ধারণ নির্ণয় করবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। দেখে নিন কারা রয়েছেন এই তালিকায়-
১. অজিঙ্কা রাহানে: ভারতীয় টেস্ট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ তিন অঙ্কের ইনিংস খেলেছিলেন। তারপর থেকে একের পর এক সিরিজে সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হয়েছেন প্রত্যেক ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে চার ইনিংস খেলে একটিমাত্র অর্ধশত রান করেছেন তিনি। তাছাড়া এই সেরেছে একটি ‘গোল্ডেন ডাক’ পেয়েছেন অজিঙ্কা রাহানে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই আজকের ম্যাচ অজিঙ্কা রাহানের জন্য অগ্নিপরীক্ষা সম।
২. চেতেশ্বর পুজারা: এই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় টেস্ট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পুজারা। বিগত দুই বছরেরও বেশি সময় তার ব্যাট থেকে আসেনি লম্বা কোন ইনিংস। ইতিমধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ‘গোল্ডেন ডাক’ পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। বিগত ১৫ টেস্টে তার গড় রান ২০-র নিচে। চলতি টেস্টে ইতিমধ্যে একবার ‘গোল্ডেন ডাক’ পেয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞতা থাকলেও মাঠে বারবার ব্যাট হাতে নিজেকে ব্যর্থ প্রমাণ করেছেন চেতেশ্বর পুজারা। তাই আজকের ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে ভারতীয় দলে তার জন্য দরজা বন্ধ হতে চলেছে এটা নিশ্চিত।
৩. বিরাট কোহলি: এই তালিকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে উঠে এসেছে রান মেশিন বিরাট কোহলির নাম। শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন অঙ্কের ইনিংস এসেছিল ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারপর একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন বিরাট কোহলি। এক মরশুমে ১০ বার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। যা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এই, যদি কেপটাউনের টেস্টে বিরাট কোহলি রান না পান, সে ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি এবং ওডিআই ক্রিকেটের পর হয়তো টেস্ট ক্রিকেটেও অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন তিনি।
