
সিডনিতে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতে ভারতীয় বোলাররা চাপে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের। এক সময় মনে হয়েছিল, প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মতো আবারও চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার সম্মুখীন হবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অভিষেক হওয়া তরুণ ওপেনার উইল পুকোভস্কি এবং তারকা ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেনের দুরন্ত অর্ধশতরানের জেরে বেশ ভালোভাবে শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। যদি উইল পুকোভস্কির দুটি ক্যাচ মিস করে ভারতের তৈরি হওয়া জায়গাটা নষ্ট করে দেন ঋষভ পন্থ।
প্রথমে তারকা অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে উইল পুকোভস্কির ক্যাচ মিস করেন পন্থ, যা নিয়ে বিরক্ত হন অশ্বিন। আর তার তিন ওভার পরেই মহম্মদ সিরাজের শর্ট পিচ বল খেলতে না পেরে যখন ক্যাচ তুলে দেন পুকোভস্কি, তখন সেই ক্যাচ মিস করেন পন্থ। আর এর ফলে অত্যন্ত জঘন্য একটি রেকর্ড গড়েছেন টিম ইন্ডিয়ার এই তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। যা নিয়ে সমালোচনা করেছেন পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ এবং অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিংও।
২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর থেকে যে সকল উইকেটকিপার ১০টি ও তার বেশি টেস্ট খেলেছেন, তাদের মধ্যে ক্যাচ ফেলার দিক থেকে গড়ে এগিয়ে রয়েছে ঋষভ পন্থ। প্রতি টেস্টে তার ক্যাচ ফেলার গড় ০.৮৬, যা অত্যন্ত জঘন্য। এদিকে টেস্ট ক্রিকেটে পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ক্যাচ নিতে স্বস্তিবোধ করেন পন্থ, পেসারদের বলে ক্যাচ নিয়েছেন ৯৩ শতাংশ। এদিকে সেই পরিমাণ ধসের মত নেমে যায় স্পিনের বিরুদ্ধে, সেখানে তার ক্যাচ ধরার সাফল্য মাত্র ৫৬ শতাংশ। আর এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলেছেন, “যে ক্যাচগুলি ড্রপ হয়েছে সেগুলি নেওয়া উচিত ছিল। ঋষভ পন্থের ভাগ্য ভালো যে উইল পুকোভস্কি নিজের ইনিংসকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাননি এবং বড় শতরান বা দ্বিশতরান করেননি কারণ এই পিচটি অসাধারণ। আমি নিশ্চিত যখন ঋষভ পন্থ এই ধরণের ক্যাচ ফেলেন, উনি নিশ্চই ভেবেছেন খারাপটা হবে এবং হয়ত ভেবেছেন যে পুকোভস্কি এটির জবাব দেবেন কিন্তু তিনি তা করেননি। আমি বারংবার বলেছি, ঋষভ পন্থের দূর্বলতা হল ওর উইকেটকিপিং। টেস্ট ক্রিকেটে ওর অভিষেকের পর থেকে, বিশ্বের অন্য কিপারদের তুলনায় পন্থ সব থেকে বেশি ক্যাচ ফেলেছে। বোঝাই যাচ্ছে পন্থকে নিজের কিপিংয়ের বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে।”
