
গতকাল সন্ধ্যায় ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। তার সিদ্ধান্তে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা হতবাক হলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা ঘটবে তা আগে থেকে আন্দাজ করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে ভারতীয় ক্রিকেটে এই বিশাল পরিবর্তন ঘটতে সময় লেগেছে মাত্র চার মাস। দেখে নিন পর্যায়ক্রমে ঘটনাবলী-
১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২১: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের খেলা শুরু হওয়ার কিছুদিন পূর্বে বিরাট কোহলি ঘোষণা করেন যে, এটাই তার অধিনায়কত্বে শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তিনি ভারতীয় দলের জন্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর অধিনায়কত্ব করবেন না। তবে ওডিআই এবং টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
৭ই নভেম্বর ২০২১: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্ব থেকে বিদায় নেয় ভারত। শেষ চারে উঠতে পারেনি কোহলীর নেতৃত্বাধীন দল।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের আসরে প্রথম পরাজিত হয় টিম ইন্ডিয়া। এর পরেই বোর্ড মোটামুটি ঠিক করে ফেলে, এক দিনের ক্রিকেটেও কোহলীকে আর অধিনায়ক রাখা হবে না।
৮ই ডিসেম্বর ২০২১: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই স্কোয়াড ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার নাম ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাথে বিরাট কোহলির বক্তব্যের পার্থক্য ঘটে। বিরাট কোহলিকে প্রায় এক ঘরে করে ফেরে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
১৫ই জানুয়ারি ২০২২: প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে কেপটাউনের তৃতীয় ম্যাচে পরাজিত হওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বিরাট কোহলি। সূত্রের খবর, অধিনায়কত্ব ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন। এরপর নিজের অভিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্ত করেন বিরাট কোহলি।
