
চতুর্থ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৮ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজের স্কোর ২-২ করে ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচের পর এই ম্যাচে ইন্ডিয়ার দুর্দান্ত কামব্যাকের সাক্ষী থাকলো ক্রিকেট মহল। টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় ইয়ন মরগ্যান। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান লক করে। তার জবাবে ইংল্যান্ড করে ১৭৭। দলের হয়ে সর্বাধিক রান করেন স্টোকস । ২৩ বলে তাঁর রান ৪৬। রয় ২৭ বলে ৪০ রান করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাট করতে নেমেই মন জয় করলেন সূর্যকুমার। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে নজির গড়লেন। অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়ার পরেও ৩য় ম্যাচে বাদ পড়েন তিনি। চতুর্থ ম্যাচে আবার ডাক পেয়ে সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করেন সূর্য। মাত্র ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন। ৬টি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো সূর্যকুমারের ইনিংস বহুল প্রশংসা পায়। পন্থ ও আইয়ার যথাক্রমে ৩০ ও ৩৭ রান করে দলের মোট স্কোর অনেকটা টেনে তোলেন। ভারতের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নেন শার্দূল। চাহার ও পান্ডিয়া নেন ২টি করে উইকেট। ভুবনেশ্বর পান ১ টি করে উইকেট।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় ১৫ ওভারের পড়ে চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন বিরাট। তখন থেকে অধিনায়কত্ব সামলান রোহিত শর্মা। আইপিএলের সফলতম অধিনায়ক রোহিত বিরাটের অনুপস্থিতিতে মাঠে সঠিক সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শুরুর দিকে ভারতের বোলাররা বেশ কিছুটা চাপ তৈরি করে। ১৫ রানের মাথায় ভুবনেশ্বরের বলে বাটলারের মুল্যবান উইকেট পরে যায়। ১৩১ রানের মাথায় পরে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১৪০ রানের পর সঠিক সময়ে স্টোকসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর, ক্যাচটি ধরে সূর্যকুমার। ৬ বলে ২৩ রান বাকি থাকাকালীন ধসের মুখে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এখান থেকেও কামব্যাক করার চেষ্টা চালায় জোফ্রা আর্চার। শার্দূলের বলে পরপর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর দুটি ওয়াইড করে আরো ২ রান ইংল্যান্ডকে উপহার দেন তিনি। তবে এরপর ৩টি বলে মাত্র ১ রান খরচ করেন শার্দুল।
খেলার চরম মুহুর্তে চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক কোহলিকে। ক্যাপ্টেন না থাকলেও দলের জয় আটকায়নি। কোহলির অনুপস্থিতিতে রোহিতের নেতৃত্বেই আসে জয়। চোট নিয়ে বিরাট জানান, “চোট নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দৌড়ে গিয়ে বল নিক্ষেপ করার সময় আমার পেশিতে লেগে যায়। এখান থেকে চোট আরও বেড়ে যাক সেটা চাইনি। তাই সময় নষ্ট না করে মাঠের বাইরে চলে আসি কারণ আমাদের সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। তবে শেষ ম্যাচের আগে আমি ১০০ শতাংশ ফিট হয়ে যাব এমনটাই আশা রাখছি। পরের ম্যাচে খেলতে অসুবিধা হবে না।” ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টি২০ সিরিজের স্কোর বর্তমানে ড্র। শনিবার অর্থাৎ আগামীকাল চূড়ান্ত ম্যাচে ভাগ্য নির্ধারণ হবে দুই দলের।
