
আগামীকাল বিশ্ব ক্রিকেটে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছেন ভারতের সদ্যপ্রাপ্ত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুবই কম সংখ্যক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা শততম টেস্ট ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। আগামীকাল সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন ভারতের ব্যাটিং কিং বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার কতটা লম্বা হলে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলা সম্ভব? কতটা ধারাবাহিকতা থাকলে তবেই শততম টেস্ট ম্যাচ খেলা সম্ভব, সেটাই এখন ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এলিট ক্লাবে প্রবেশ করার আগেই দূরত্ব কমিয়ে বিরাট কোহলিকে আগাম শুভেচ্ছা বার্তা জানলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
সম্প্রতি বিরাট কোহলি এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা কারোর অজানা নয়। তবে দুরন্ত দুর্বার গতিতে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাওয়া বিরাট কোহলিকে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে কোন ভুল করেননি মহারাজ। এদিন তিনি বলেন,”আমি বিরাটের সঙ্গে খেলিনি। তবে ওর ব্যাটিং সবসময় মন দিয়ে দেখেছি। বিরাটকে ওর কেরিয়ারের শুরু থেকে দেখেছি। একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার থেকে ও নিজেকে লেজেন্ডের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তাই আমি চাই ওর কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হোক।”
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সৌরভ গাঙ্গুলী অবসর নিয়েছিল ২০০৮ সালে। ঠিক সেই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল বিরাট কোহলির। এরপর ক্রিকেট বিশ্বে একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে যুক্ত করেছেন কিং কোহলি। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর শচীন টেন্ডুলকারের স্থানে লাল বলে ব্যাটিং করার সুযোগ পান বিরাট কোহলি। তারপর থেকে দেশ-বিদেশে জয়ের ইতিহাস লিখেছেন তিনি। সৌরভ গাঙ্গুলী এদিন তার বক্তব্যে বলেন,”আমি কখনোই শচীন টেন্ডুলকার এবং বিরাট কোহলির মধ্যে সেরা বেছে নিতে চাইনা। দুজনেই নিজেদের সময়ের সেরা ক্রিকেটার। ওরা দুই প্রজন্মের ক্রিকেটার, তাই ওদের মধ্যে কখনো সমতা পরিমাপ করা উচিত হবে না। ক্রিকেট জগতে বিশাল মাইলফলক স্পর্শ করার জন্য আগাম শুভেচ্ছাবার্তা রইল তার জন্য।”
