
সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটে অধিনায়ক পরিবর্তন সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। রীতিমতো দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সমভাবে আলোচিত হচ্ছে বিষয়টি। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক বিরাট কোহলির বরখাস্ত ব্যাপারটা হজম করতে পারছেনা ক্রিকেটপ্রেমীরা। এ বিষয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গুলি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রেগ চ্যাপেলের সাথে সৌরভ গাঙ্গুলীর সম্পর্ক খুঁজতে শুরু করেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ ওডিআই ক্রিকেটে ভারতের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ক্রিকেটপ্রেমীদের এক অংশের মন্তব্য, শুধুমাত্র আইসিসি ট্রফি দিয়ে কারোর যোগ্যতা বিচার করা রীতিমতো বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। ট্রফি কখনো একজনের প্রচেষ্টাতে অর্জন করা সম্ভব হয় না। সেই হিসেবে দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার ব্যর্থ হয়েছেন আইসিসি ট্রফি অর্জন করতে। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেন বিরাট কোহলি দোষী? আর তার ফল কেবল কেন মাত্র শুধু তিনি ভুগবেন? এমন হাজারো প্রশ্নে উত্তপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া।
অবশেষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গুলি এই বিষয়ে কথা বললেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলে, এ বিষয়ে সত্যিই আমাদের কিছু করার ছিল না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য বিরাট কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি। এদিকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, একি বলে দুইজন অধিনায়ক রাখা মোটেও যুক্তিযুক্ত হবে না। তাই টি-টোয়েন্টির মত ওডিআই ক্রিকেটেও পরিবর্তন করা হোক অধিনায়ক।
তাদের সিদ্ধান্তে একাধিক যুক্তি ছিল। কারণ আগামী ২০২২ এবং ২০২৩ সালে দুটি সাদা বলে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে একজনের হাতে অধিনায়কত্ব থাকা সুবিধাজনক মনে করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিরাট কোহলিকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিল ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সেখানে কোন রকম প্রতিক্রিয়া দেখাননি বিরাট কোহলি। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি শুধুমাত্র লাল বলে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন।
