
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঝুলন গোস্বামীর মাঠে না নামাটাই জয়-পরাজয়ের বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ালো। ৩৯ বছর বয়সী ঝুলন গোস্বামী হয়তো বিশ্বকাপটা আর স্পর্শ করার সৌভাগ্য অর্জন করবেন না। ১৯৯৭ সালে বল গার্ল থেকে বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেটের মালকিন। ঝুলনের স্বপ্নের উত্থান। ভেবেছিলেন, একবার অন্তত বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখবেন। সেটা আর হল না। ধারণা করা হচ্ছে এটাই তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ।
৩৯ বছর বয়স্ক ঝুলন গোস্বামী ইনজুরির কারণে আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি। সম্ভবত চোট কাটিয়ে আর জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন না ঝুলন, আর এই কারণে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। চলতি মহিলা বিশ্বকাপের মরণ বাচনের লড়াইয়ে চোটের কারণে খেলতে পারেননি ঝুলন গোস্বামী। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। যেখানে দলে ঝুলন গোস্বামীর প্রয়োজনীয়তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী ক্রিকেটকে চির বিদায় জানাতে পারেন এমনটা মনে করছেন তার অধিনায়ক মিতালি রাজও।
চলতি বিশ্বকাপে দুটি রেকর্ড নিজের নামে অন্তর্ভুক্ত করেছেন বাংলার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই উইকেট দখল করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে নেমে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার আনিসা মহম্মদকে সাজঘরে ফিরে বিশ্বকাপের মঞ্চে ৪০ উইকেট দখল করলেন তিনি। আর এর সাথে সাথে ভেঙে দিলেন ৩৪ বছরের পুরানো রেকর্ড। এতদিন বিশ্বকাপের মঞ্চে ৩৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন লিন ফুলস্টন। তবে এবার তাকে টপকে বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তকমা কেড়ে নিয়েছেন বাংলার এই বিধ্বংসী পেসার।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে ঝুলন গোস্বামীকে শচীন টেন্ডুলকারের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। একটি কিংবা দুটি বিশ্বকাপ নয়, ভারতের জার্সিতে খেলেছেন পাঁচটি বিশ্বকাপ। আপনাদের জানিয়ে রাখি, চলতি বিশ্বকাপ ছিল ঝুলন গোস্বামী ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপ। ২০০৫ সালে ভারতের জার্সিতে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপ খেলেছিল ঝুলন গোস্বামী। এরপর ২০০৯, ২০১৩, ২০১৭ এবং চলতি বিশ্বকাপে খেলছেন ঝুলন গোস্বামী। ২০১৭ সালে একবার বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন দেখেছিলেন ঝুলন। তবে ফাইনালে পরাজিত হয়ে সেই স্বপ্ন চূর্ণ-বিচূর্ণ হল তার।
