
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ঋদ্ধিমান সাহার বেফাঁস মন্তব্য। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে কিছুদিন আগে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৩৭ বছর বয়স্ক ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে আর বেশি দূরে এগোতে চাইছেনা ভারতীয় ক্রিকেট। বরং তার স্থানে নবাগত ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে। চলতি শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দিকে একাধিক সন্দেহজনক তীর ছুড়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। সেই তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী সহ ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে এবার কাঠগড়ায় উঠতে চলেছে ঋদ্ধিমান সাহা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গ্রেড বি-তে বার্ষিক তিন কোটি টাকার চুক্তিতে রয়েছেন ঋদ্ধিমান। আর সেই চুক্তির ৬.৩ ধারায় লেখা আছে, ‘এক জন ক্রিকেটার খেলা, আধিকারিক, খেলার কোনও ঘটনা, যান্ত্রিক ব্যবহার, নির্বাচন পদ্ধতি অথবা দল, বোর্ড, বোর্ডের সঙ্গে জড়িত কোনও ঘটনা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলতে পারবেন না।’ আর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিচারাধীন বিভাগ চাইলে ঋদ্ধিমান সাহাকে শাস্তিতে ফেলতে পারে।
সম্প্রতি ঋদ্ধিমান সাহা ভারতীয় স্কোয়াড থেকে তাকে অপসারিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের স্পষ্ট জানান, নিউজিল্যান্ড সিরিজে ইনজুরি হওয়ার সত্তেও অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তারপর নাকি সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে কথা দিয়েছিলেন, দলে তার স্থান নিয়ে ভাবার কোন কারণ নেই। অন্যদিকে রাহুল দ্রাবিড় তাকে নিজে থেকে অবসরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ঋদ্ধিমান সাহার এমন মন্তব্যের পর সৌরভ গাঙ্গুলী এবং রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
