
রবিবার শচীন টেন্ডুলকারের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া লেজেন্ডস তিলকরত্নে দিলশানের শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডসকে ১৪ রানে পরাজিত করে রায়পুরে অনুষ্ঠিত রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের টি২০ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী মরশুমের চ্যাম্পিয়ন হয়। এ যেন ২০১১ এর বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতিচারণ, যেখানে ধোনির নেতৃত্বে ভারত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ যেতে। সেই ফাইনালে থাকা খেলোয়াড়দের অনেকে আবার মাঠে নামছেন আরও একটি ফাইনাল খেলতে। ১০ বছর পর খেলোয়াড়রা এখন কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন, অবসর নিয়েছেন, বয়স্ক হয়েছেন, কিন্তু খেলার প্রতি আবেগ এখনো একই রয়ে গেছে।
টসে জিতে শ্রীলঙ্কা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। জবাবে শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস ৭ উইকেটে ১৬৭ রান করতে সক্ষম হয়। বীরেন্দ্র সহবাগ শচীন টেন্ডুলকারের বিখ্যাত ওপেনিং জুটি প্রথম উইকেটে ১৯ রান তুলতে সক্ষম হন। সেহওয়াগ শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ১০ রান করেন। মাস্টার ব্লাস্টার টেন্ডুলকার, যিনি সেমি ফাইনালে ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেজেন্ডস বিরুদ্ধে একটি অর্ধ-শত রান করেছিলেন,ফাইনালে ১১ তম ওভারে মাহারুফ দ্বারা ৩০ রানে আউট হন।
ব্যাটিংয়ে নেমে যুবরাজ সিং এবং ইউসুফ পাঠান ভক্তদের পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যান যখন তাঁরা চতুর্থ উইকেটে ৮৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ যুগলবন্দী করেন। যুবরাজ ৪১ বলে ৬০ রান করেন। যুবরাজের আউট হওয়ার পর ইরফান পাঠান তাঁর বড় ভাই ইউসুফের সাথে যোগ দেন। ইউসুফ পাঠান ৩৬ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেন। ক্রিজে থাকার সময় তিনি ৫টি ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারি মারেন। অন্যদিকে ইরফান একটি দ্রুত ক্যামিও খেলেন এবং মাত্র ৩টি ডেলিভারিতে ৮ রান করেন।
শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডসের ব্যাটিং এর শুরুটা ভাল করেন। সনৎ জয়সূর্য ও দিলশনের ওপেনিং জুটি বেশ বড় রান তুলে নেন। সনৎ জয়াসুরিয়া শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস-এর হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। ৩৫ বলে তিনি ৪৩ রান করেন এবং অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান করেন ২১ রান করেন।। শেষদিকে লড়াই চালান চিন্তকা জয়সিংঘে ও কৌশল্যা বীরারত্নে। বীরারত্নে করেন ৩৮ রান। জয়সিংঘের ব্যাট থেকে আসে ৪০। ভারতের হয়ে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও সাফল্য পান ইউসুফ। তিনি দুটি উইকেট তোলেন। ইরফানও পান ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মনপ্রীত গোনি ও মুনাফ পটেল। ১৬৭ রানেই থেমে যায় শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডসের ইনিংস এবং ১৪ রানের ব্যবধানে জয় পায় ইন্ডিয়া লেজেন্ডস।
ফাইনাল জেতার পরই সতীর্থদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন যুবরাজ। শচীন, শেহওয়াগ, ইউসুফ পাঠান, কাইফদের নিয়ে টুইট করে তিনি লেখেন, “দলের তরুণ ক্রিকেটারদের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।” এছাড়া গোটা টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে একের পর এক শুভেচ্ছা বার্তায় সোশ্যাল মিডিয়া ভরিয়ে দেয় ভক্তরা।
