
হ্যাঁ, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম একদিনের ম্যাচে এমনই ঘটনা ঘটেছে। খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড কোন দেশের জুনিয়র টিমের সাথে খেলা করছে। খেলার মধ্যে একটু সময়ের জন্যও পাকিস্তান টিম কাম ব্যাক করতে পারেনি। শুধুমাত্র যেন তারা আউট হওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে। উল্লেখ্য এই যে, ইংল্যান্ড জাতীয় দলের তিন সদস্যের মধ্যে করোনার লক্ষ্যন দেখা যাওয়ার ইংল্যান্ড জুনিয়রদের সাথে নিয়ে খেলতে নেমেছিল। বেন স্ট্রোকের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড টিম পাকিস্তানের সাথে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে।
বাবর আজমের নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে (৩৫.২) ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে (১৪১) রানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে ইংল্যান্ডের জন্য। পাকিস্তানের হয়ে সর্বাধিক রান করেন ফাকার জামান (৪৭)। বাকি কেউই দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড দলের বোলারদের সামনে। দলের হয়ে শফিক মাহমুদ ৪টি উইকেট তুলে নেন। ইংল্যান্ড দলে কোন তারকা ব্যাটসম্যান না থাকলেও তারা ৯ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়। ইংল্যান্ড (২১.৫) ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছে যায়। দলের হয়ে ডেভিড মালান ব্যক্তিগত ৬৮ ও জাক ক্রোলি ব্যক্তিগত ৫৮ রান করেন।
দুজনের পার্টনারশিপের ওপরে ভর করে ৫০ ওভারের অনেক আগেই ইংল্যান্ড দল তাদের সিরিজের প্রথম জয় তুলে নেন। বলা যায়, পাকিস্তানের সাথে ছেলেখেলা করে তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছেছে। এখন দেখার বিষয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান কিভাবে ইংল্যান্ড টিম এর মোকাবেলা করবে। উল্লেখ্য এই যে, পাকিস্তান টিমের ব্যাটসম্যান বাবর আজম ICC ওডিআই রাঙ্কিং-এ শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছেন। তাই পাকিস্তান টিম যে মোকাবেলায় ফিরবে সেটি আশা করা যেতে পারে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি আগামীকাল খেলা হবে।
