
চলতি আইপিএলে ব্যর্থতার চরমসীমা উত্তীর্ণ করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২০২১ আইপিএলের ধারাবাহিকতা ভাঙতে নারাজ অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোনভাবেই প্লে-অফে ওঠা যাবেনা, এ যেন রোহিত শর্মার কঠোর নির্দেশ। আর সেই নির্দেশ অমান্য করার সাধ্য কার। তাইতো রোহিতের ন্যায় ব্যর্থতা স্রোতে গা ভাসিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বাকি ক্রিকেটাররাও। চলতি আইপিএলে ঘর ভেঙেছে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির। তবে সবকিছু হারিয়েও নতুনভাবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করেছেন বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সেট দল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ব্যর্থতার মাঝেও পরোপকার করতে ভুলেনি আইপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের আসর শুরু থেকে সবচেয়ে ম্যাচে পরাজিত হওয়ার রেকর্ড এখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মাথায়। টানা ৭ ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর এই অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়েছে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ইতিপূর্বে আইপিএলে টানা সর্বাধিক ম্যাচ হারার কলঙ্কিত রেকর্ড ছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের।
সফলতার দিক থেকে যেমন রেকর্ড গড়তে জানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ঠিক তেমনি ব্যর্থতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকতে চায় না রোহিত শর্মার চ্যাম্পিয়ন দল। তাইতো রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের টানা ছয় ম্যাচে পরাজিত হওয়ার রেকর্ড ভেঙে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গতকাল আইপিএলের ইতিহাসে এই বিস্ময়কর লজ্জাজনক রেকর্ডটি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে গড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে পরাজিত হওয়ার পর ইতিমধ্যে আইপিএলের প্রথম দল হিসেবে গুরুপ পর্যায় থেকে বিদায় নেওয়ার টিকিটও কেটে ফেলেছে মুম্বাই। উল্লেখ্য, আরসিবি ২০১৯ আইপিএলে এবং দিল্লি ২০১৩ সালে তাদের প্রথম ৬টি করে আইপিএল ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল।
